হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ এর জীবনী Part 1

হযরত আয়েশা রাঃ এর জীবনী বই

হযরত আয়েশা রাঃ এর জীবনী বই

ঈমান পরিচিতি 

মুমিন-মুসলমানের জন্য ঈমান হচ্ছে সবচেয়ে বড় সম্পদ। ঈমান ঠিক না অর্থ হলে কোন আমলেরই মূল্য নেই। সেজন্য ঈমান সঠিক ও নিখুঁত হওয়া জরুরি। ২৯৫ ঈমানের মৌলিক দিকগুলাে জানা ও মানা জরুরি। এখানে ঈমানের বিভিন্ন
বিষয়াবলী ক্রমানুসারে আলােচনা করা হলাে।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন।

 আল্লাহ আমাদের মাবুদ। আমরা যার ইবাদত করি, যিনি সর্বশক্তিমান, যার হুকুমে সকল সৃষ্টি জগৎ তৈরি হয়েছে ও ধ্বংস হবে; যার কোন শরীক নেই, যিনি সমস্ত কিছু দেখেন, শুনেন ও জানেন। দুনিয়ায় সব কিছু তারই অধীন। যিনি সর্বস্থানে-সর্বদা হাজির আছেন, থাকেন ও বিরাজ করছেন; যিনি সকল বস্তু ও মাখলুক সৃষ্টির আগে থেকেই ছিলেন ও ভবিষ্যতেও থাকবেন। যার বড়ত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব, মর্যাদা ও গুণাবলি লিখে, বলে, পড়ে, শুনে ও বুঝে শেষ করার মতাে নয়। আল্লাহ বলেন, “সকল জ্বিন ও মানুষ যদি লিখা শুরু করে, সকল গাছপালা। 
 
 যদি কলম হয়ে যায় এবং সমস্ত পানি যদি কালি হয়ে যায় আর আসমান ও জমিন যদি কাগজ হয় তবুও এক পর্যায়ে সব কিছু শেষ হয়ে যাবে; কিন্তু তার গুণগান ও প্রশংসা বাণী লিখে শেষ করা যাবে না। সুবহানাল্লাহ! তিনিই আল্লাহ, যাঁর কুদরতে তামাম সৃষ্টি জাহান চলছে, চলতে থাকবে। যিনি এক সময় এই সাত স্তবক জমিন ও আসমানের ধ্বংস সাধন করবেন, যিনি বিচার দিনের মালিক। 
 
 যিনি মানুষকে ও জ্বিন জাতিকে শুধুমাত্র তাঁর হুকুম-আহকাম অর্থাৎ আদেশ ও নিষেধ অনুযায়ী জীবন যাপনের জন্য সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি সকল মাখলুককে মানুষের সেবা করার জন্য পয়দা করেছেন, আর মানুষকে পয়দা করেছেন তাঁর পরিপূর্ণ গােলামী করার জন্য। এছাড়াও যিনি জ্বিন ও মানব জাতির ভালাে কর্মফলের পুরস্কার দেয়ার জন্য বেহেশত এবং মন্দ কর্মফলের শাস্তি দেয়ার জন্য দোযখ সৃষ্টি করেছেন—তিনিই আল্লাহ। তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তিনি যা করতে চান তা হয়ে যায়। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ)- ২

রাসূলুল্লাহ (সাঃ)। 

অতিশয় দয়াবান ও দয়ালু আল্লাহু যুগে যুগে যে সব মানুষকে পছন্দ ও মনােনীত করে পথহারা উম্মতকে সঠিক পথ দেখানাের জন্য পাঠিয়েছেন তারাই হলেন নবী ও রাসূল। তারা মাসুম বা নিস্পাপ । আল্লাহ তাদেরকে গোনাহ থেকে পবিত্র রেখেছেন। আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত ও নসীহত গ্রন্থ হিসেবে ছােট ও বড় অনেক আসমানী কিতাব দিয়েছেন।

রাসূলগণ আসমানী কিতাবের ধারক বাহক। তারা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী অনুসারীদের আদেশ-নিষেধ করেছেন। সর্বশেষ নবী ও রাসূল হচ্ছেন প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাঃ)। তার উপর আল-কুরআন নাজিল হয় । ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুয়ত প্রাপ্ত হয়ে ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তার ২৩ বছরের নবুয়তী জিন্দেগী উম্মতের জন্য মহান আদর্শ।


কুরআনুল কারীম

 কুরআনুল কারীম হলাে আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত মানুষ ও জ্বিন জাতির হেদায়েত, উপদেশ ও নসীহত গ্রন্থ। এটা সকল আসমানী কিতাবের সার নির্যাস । এ কিতাব হলাে সর্বোত্তম আল্লাহর দেয়া কিতাব। এটা আল্লাহর কালাম। এর হেফাজতের মালিকও তিনি। এতে কোন রকম ভুল নেই। অপবিত্র ও বিন | 
 
 অযুতে একে সরাসরি বা জুর্দান ছাড়া ধরা যায় না। নাপাক অবস্থায় একে | তেলাওয়াতও করা যায় না। কেননা, এগুলাে মহাপাপ বা কবীরা গােনাহ । মানুষের প্রয়ােজনীয় সকল বিষয়বস্তুর মূল উপাদান এতে রয়েছে। এর এক একটি হরফ পবিত্র অবস্থায় দেখে পড়লে ১০টি নেকী আমলনামায় লেখা হয়। আখেরী নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর এই কিতাব সুদীর্ঘ ২৩ বছরে প্রয়ােজন ও সময় উপযােগী করে নাযিল করা হয়েছে। 
 
 এটা কিয়ামত পর্যন্ত সকল যুগের সকল দেশের সমস্ত মানুষের জন্য একমাত্র হেদায়েত ও নসীহত গ্রন্থ। আল্লাহর কিতাবসমূহের মধ্যে এটাই সর্বোত্তম। এর আরেক নাম আল-ফোরকান।। কুরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব অনেক। এটা ছাড়া নামায হয় না।

হাদীস শরীফ

 হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) যা করেছেন, যা আদেশ করেছেন, কিংবা কাউকে করতে দেখে নীরব ছিলেন, তাই হাদীস। এটা মূলত কুরআন শরীফের ব্যাখ্যা। কুরআন শরীফ বুঝারজরুরি।

নবুয়তী জিন্দেগী। 

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন সর্বশেষ নবী। তার পরে আর কোন নীর ভব হবে না। তার মাধ্যমে আল্লাহর বাণী আল্লাহর বান্দার নিকট প্রেরিত তা। তার ওফাতের সঙ্গে সঙ্গে নবুয়তের ধারা বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু আল্লাহর কার সঠিক পথের দিশার জন্য আল্লাহর বাণীর প্রয়ােজনীয়তা শেষ হয়নি। নেষের ময়দানে তাবলীগ এবং দাওয়াহর প্রয়ােজন আছে।

পরিবার, বংশধর, অনুসারীদের জন্য রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কোন অর্থ-বিত্ত, সম্পদ-সম্পত্তি রেখে যাননি। নবীদের বিত্ত-সম্পত্তি তাঁদের কোন উত্তরাধিকারী পায় না। নবীরা যে সম্পদ রেখে যান, তা হলাে তাদের প্রচারিত আদর্শ। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর অনুসারীদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য হলাে তাঁর প্রচারিত আদর্শ সংরক্ষণ করা, অনুসরণ করা, সম্প্রচার করা এবং রাসূলের সুন্নাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করা, দাওয়াত দেয়া।

নবীদের প্রতি অনুসারীদের দায়িত্ব

পুত্রদের প্রতি রয়েছে পিতার দায়িত্ব। স্বামীর রয়েছে স্ত্রীর প্রতি, চিকিৎসকের দায়িত্ব রয়েছে রােগীদের প্রতি। ক্লায়েন্ট এবং গ্রাহকদের স্বার্থের দিকে লক্ষ্য রাখেন ব্যবসায়ী এবং দোকানদার। কারণ গ্রাহকদের প্রতি ব্যবসায়ীর দায়িত্ব। আছে। ছাত্রদের স্বার্থ শিক্ষক উপেক্ষা করতে পারেন না। ছাত্রদের পরীক্ষায় সফলকাম হওয়ার জন্য শিক্ষকের কর্তব্য রয়েছে। প্রশাসক সাধারণ মানুষের স্বার্থের প্রতি সচেতন। 

মজলুমের প্রতি রয়েছে বিচারকের দায়িত্ব। মুসলিম জনগণের কোন দায়িত্ব কি নেই তাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রচলিত আদর্শের প্রতি। 

 প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কোন হক অথবা অধিকার কি তাঁর অনুসারীদের উপর নেই? তাঁর প্রতি আমাদের কি কোন কর্তব্য নেই? তার থেকে আমাদের চাওয়া এবং পাওয়ার কি কিছুই নেই? আল্লাহর দীন পাওয়ার পর নবী করীম (সাঃ)-এর প্রতি আমাদের নির্ভরতা এবং প্রয়ােজনীয়তা কি শেষ হয়ে গেছে? আমরা কি আমাদের প্রিয় নবীর কাছে কিছুই চাই না?
যদি রাসূলের কাছে আমাদের চাওয়া এবং পাওয়ার কিছু থাকে, তাহলে তার প্রতি আমাদের কোন দায়িত্ব এবং কর্তব্যও থাকা স্বাভাবিক। আমাদের মূল্যবান

সময়ের অল্প কিছু অংশকে আমরা কি এমন কাছে ব্যয় করতে পারি না, যে কাজের জন্য মহানবী (সাঃ) ধরার ধূলায় আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি কি মুলত আল্লাহর দীন প্রচারের জন্য প্রেরিত হননি? তাহলে দ্বীন প্রচারের দায়িত আমাদের দ্বীনের মূল দায়িত্ব হওয়া উচিত।

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর নিকটে যে কাজ সবচেয়ে বেশি  ছিল, ঐ কাজ করার সময় আমাদের হয় না। আমাদের অফিস আছে, ব্যবসা আছে, শিল্প-বাণিজ্য আছে, ছেলেমেয়ে, আত্মীয়-স্বজন আছে।

মৃত্যুপথযাত্রী মায়ের সন্তানেরা কি চাকরিজীবী হলে অফিসে যায় না? কেউ কি বলে আমি অফিসে যেতে পারবাে না, কারণ গৃহে বৃদ্ধা মা অসুস্থ? কোন ব্যবসায়ী কি বলেন যে, তিনি তার দোকানে বা কর্মস্থলে যেতে পারবেন না । কারণ সবগুলাে সন্তানই অপ্রাপ্ত বয়স্ক।

শিশু-সন্তান বৃদ্ধ পিতা-মাতা থাকা সত্ত্বেও অফিস-আদালত, ব্যবসায়-বাণিজ্য, রাজনীতি, সমাজসেবা সব কিছুই চলে। ব্যস্ততা সত্ত্বেও বিভিন্ন। ধরনের কাজের জন্য সময় করে নেয়া সম্ভব হয়। কিন্তু আমরা আমাদের ব্যস্ততার কারণে প্রিয় নবীর সর্বোত্তম কাজের জন্য সময় বের করতে পারি না।




আমাদের কিছু কথা

বাংলায় লিখতে গিয়ে যদি কোনো ধরনের ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

এবং যদি আপনাদের কোন ধরনের সাজেশন থাকে তাহলে অবশ্য আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন

আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ

আমাদের এই পোস্টে ভিজিট করার জন্য

এবং যদি ভালো লাগে এই পোস্টটি তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

Post a Comment

0 Comments