ঈমানের পর্যায়সমূহ / হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ জীবনী বই Part 2

হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ জীবনী বই

ঈমানের পর্যায়সমূহ

ঈমানের পর্যায়সমূ্হ

 ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের উপর স্থাপিত। যথা কালিমা, নামায, রােযা, হজ্জ ও যাকাত।
কালিমা শরীফ না জানলে ও আন্তরিকভাবে তা স্বীকার না করলে কেউ মুসলমান বা ঈমানদার হতে পারে না। নিম্নলিখিত কালিমাগুলাে মুখে উচ্চারণ করা ও অন্তরে বিশ্বাস করা এবং তা আমল করা একজন মুমিনের জন্য প্রথম ফরজ। প্রথম কালিমায়ে তাইয়্যিব।

তাইয়্যিব অর্থ পবিত্র। মানুষ যখন অবিশ্বাসী বা কাফের থাকে, তখন সে অপবিত্র থাকে। যখন এই কালিমা পড়ে ও উত্তরে বিশ্বাস করার পর সে পবিত্র হয়।

More ➤ প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় করুন


কালিমা তাইয়্যিব (পবিত্র বাক্য)

لا اله الا الله محمد رسول الله -
উচ্চারণ ঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ। অর্থ ঃ আল্লাহ ছাড়া আর কোন মা'বুদ নেই। মুহাম্মদ (সাঃ) আধ্যাহর প্রেরিত রাসূল।

কালিমা শাহাদাত (সাক্ষ্য বাক্য)
أشهد أن لا اله الا الله وحده لا شريك له وأشهد أن محمدا عبده و رسوله

উচ্চারণ ঃ আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু। " অর্থ ঃ আমি সাক্ষ দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই। তিনি একক, তার কোন শরীক নেই; আমি আরাে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ | (সাঃ) তাঁর বান্দা ও প্রেরিত রাসূল।

কালিমা তাওহীদ (একত্ববাদ বাক্য)

اله الا انت واحدا لا تانی ک محمد رسول الله امام القيت رسول رب العالمین۔

উচ্চারণ ও লা ইলাহা ইল্লা আন্তা ওয়াহিদাল লা ছানিয়া লাকা মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহি ইমামুল মুত্তাকীনা রাসূলু রাব্বিল আলামীন।

Read More: রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর যুদ্ধ ও অভিযান সমূহ

অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া আর কেউ ইবাদতের উপযুক্ত নেই। তুমি একক, তােমার দ্বিতীয় কেউ নেই। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল, মুত্তাকীদের ইমাম ও বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক কর্তৃক প্রেরিত রাসূল।।

কালিমা তামজীদ (গুণাবলি সম্পন্ন বাক্য)

ماء محمد
لا اله الا انت ورا يهدى الله لنوره من یشا محمد رسول الله امام المرسلین خاتم الئبه -

উচ্চারণ ঃ লা ইলাহা ইল্লা আন্তা নূরাই ইয়াহদিয়াল্লাহু লিরিহী মাইয়্যাশা-উ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহি ইমামুল মুরসালীনা খাতামুন নাবিয়্যীন। | অর্থ ও তুমি ছাড়া আর কেউ মাবুদ নেই। তুমি জ্যোতির্ময় আল্লাহ। তােমার নূর দ্বারা যাকে ইচ্ছা কর তাকে সৎ পথ দেখাও। মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল, তিনি সমস্ত রাসূলের ইমাম, সকল নবীর শেষ নবী।।

ঈমানে মুজমাল (মৌলিক বিশ্বাস)

 أمنت بالله كما هو باشمايه وصفاته وقبلت جميع
آگاه وارگانه -

উচ্চারণ ও আমানতু বিল্লাহি কামা হুয়া বিআসমা-য়িহী ওয়া ছিফাতিহী ওয়া। কাবিলতু জামী'আ আহকামিহী ওয়া আরকানিহী।
অর্থ : আল্লাহ এবং তাঁর নামসমূহ ও গুণের উপর বিশ্বাস স্থাপন করলাম। এবং তাঁর আদেশ ও রুকনসমূহ মেনে নিলাম।।

ঈমানে মুফাস্সাল (বিস্তারিত বিশ্বাস)

أمنت بالله وملائگته وكتبه ورسله واليوم الأخير والقدر خيره وشتره من الله تعالى والبعث بعد الموت .

উচ্চারণ ও আমানতু বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুসূলিহী ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি ওয়াল কাদরি খায়রিহী ওয়া শাররিহী। মিনাল্লাহি তা'আলা ওয়াল বাছি বা'দাল মাউত।।
অর্থ : আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতাগণ, তার কিতাবসমূহ, তাঁর প্রেরিত রাসুলগণ, কিয়ামত, তাকদীর, সমস্ত ভালাে-মন্দ আল্লাহ তাআলা থেকে ও মৃত্যুর পর পুনরুত্থান প্রভৃতির উপর আমি বিশ্বাস স্থাপন করলাম।


শরীয়তের পরিভাষা ও বিধান।

ফরজ। কুরআর ও হাদীস শরীফের সহীহ দলিল দ্বারা যে সব হুকুম-আহকাম সাব্যস্ত। হয়েছে, তাই ফরজ। যেমন- পাঁচ ওয়াক্ত নামায, রমজানের রােযা, হজ্জ, যাকাত, পর্দা ইত্যাদি।

ওয়াজিব।

যা অকাট্য দলিল দ্বারা প্রমাণিত এবং সাহাবায়ে কেরামের ‘আমল দ্বারা প্রমাণিত তাই ওয়াজিব। যেমন- জানাযার নামায, বিতরের নামায, দুই ঈদের


নামায, কোরবানী, দাড়ি । পােশাক পরা ইত্যাদি।
বৰানী, দাড়ি এক মুষ্টি পরিমাণ বড় রাখা, পায়ের গিরার উপরে।

সুন্নাত

ভয়র আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সব আমল করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন, তা সুন্নাত। যেমন- যােহরের সুন্নাত নামায, ফজরের সুন্নাত নামায ইত্যাদি।

মােস্তাহাব।
যে সব কাজ হুযুর আকরাম (সাঃ) মাঝে মাঝে নিজে করেছেন এবং অন্যকে। করতে উৎসাহিত করেছেন, তাই মােস্তাহাব। যেমন - আসরের সুন্নাত নামায, তাহাজ্জুদ, ইশরাক, আউয়াবীনের নামায ইত্যাদি। |

বিদআত
যা সুন্নাতের বিপরীত তাই বিদ'আত। কাজেই বিদআতের সব কিছুই নিন্দনীয়, পরিত্যাজ্য, তার মধ্যে কোন দিকই ভালাে থাকতে পারে না। অপরদিকে বিদ'আত দু'ভাগে ভাগ করে এক ভাগকে ভালাে বিদআত (বিদ'আতে হাসানাহ) এবং অন্য ভাগকে মন্দ বিদ'আত (বিদ'আতে সাইয়্যিয়াহ) বলে আখ্যায়িত করাও এক প্রকার গােমরাহী। কারণ, নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন

“সব বিদআতই গােমরাহী।” আর সব বিদআত গােমরাহী হলে কোন বিদআতই হেদায়েত হতে পারে না।

কবীরা গুনাহ

মহাপাপ ও বড় গুনাহ-ই কবীরা গুনাহ। এর সংখ্যা অনেক। এর মধ্যে । উল্লেখযােগ্য হলাে ঃ কাউকে হত্যা করা, যিনা করা, চুরি-ডাকাতি ও রাহাজানী। করা, মিথ্যা বলা, আমানত খেয়ানত করা, মিথ্যা কসম করা, অপবাদ দেয়া, ঝগড়া-বিবাদ, মামলা করা, লা'নত বা গজব দেয়া, হারাম খাওয়া, গীবত বা।

নন্দা করা, সামনে ধিক্কার দেয়া, কারাে ইজ্জত ক্ষুন্ন করা, হক নষ্ট করা,

হক খাওয়া, কারাে উপর জুলুম করা। নামায কাযা করা, বিনা জরুরতে
এতীমের হক খাওয়া, কারাে উপর জুলুম করা ।    নামায কাযা করা বিনা জরুরতে

ফটো ভােলা, নাচ-গান করা, সিনেমা, টেলিভিশন, যাত্রা দেখা ও খেলায়। অংশগ্রহণ করা, মাপে কম দেয়া, কাউকে ঠকানাে, মা-বাবাকে কষ্ট দেয়া। কারাে সাথে প্রতারণা করা, অহংকার করা, হিংসা করা, সুদ, ঘুষ খাওয়া ও দেয়া, লওয়া। ইত্যাদি। মুসলমানকে টিটকারী করা, পর্দা অমান্য করা, পুরুষ মহিলার বেশ ও মাহিলা পুরুষের রূপ ধারণ করা।

 স্বামীর অবাধ্য হওয়া, হায়েজ ও নেফাস অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা, প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া, গর্ব করে টাখনু গিটের নিচে লুঙ্গি, পায়জামা ও প্যান্ট ইত্যাদি ঝুলিয়ে রাখা। বিজাতীয় পােশাক পরা ও অনুসরণ করা। নাপাক ও বিনা অযুতে কুরআর শরীফ ধরা ও পড়া। ছােটকে স্নেহ না করা, বড়কে সম্মান ও আলেমের কদর না করা ইত্যাদি।


এসব কাজ যারা। করে তাদেরকে ফাসেক’ বলা হয়। এর অর্থ ইচ্ছাকৃত কবীরা গুনাহকারী প্রকত। ঈমানদার নয়। খাটি অন্তরে তওবা না করলে এসব গুনাহ মাফ হয় না। ছােট গুনাহ বা ছগীরা গুনাহ ইবাদত দ্বারা মাফ হয়। কবীরা গুনাহ তাওবা ছাড়া মাফ হয় না। |

 মুনাফিকের আলামত

হাদীস শরীফে আছে ঃ মুনাফিকের লক্ষণ ৪টি, যথা ঃ (১) যে ব্যক্তি মিথ্যা। কথা বলে, (২) কারাে সাথে অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে, (৩) কেউ কিছু
আমানত দিলে খেয়ানত করে, (৪) কারাে সাথে ঝগড়া লাগলে মান-সম্মান নিয়ে। টানাটানি করে বা গাল-মন্দ করে।

মুসলিম উম্মাহর পরিচয় ও হাদীস শরীফে আছে, হুযুর পাক (সাঃ) বলেন : (১) যে ব্যক্তি ছােটদেরকে স্নেহ করে. (২) বড়দেরকে সম্মান করে ও (৩) আলেমদের কদর করে সেই আমার উম্মত। বাকিরা আমাকে চিনেনি, আমিও। তাদেরকে চিনি না।

 অর্থাৎ তারা আমার উম্মত নয়। অন্য হাদীসে ইরশাদ। করেছেন : “যারা আমার সুন্নাতকে ভালােবাসে তারা যেন আমাকেই ভালােবাসলাে, আর যারা আমাকে ভালােবাসে তারা আমার সাথেই বেহেশতে থাকবে। একথা থেকে বুঝা যায় যে, যারা হুযুর পাক (সাঃ)-এর সুন্নাতকে মহব্বত করে না তার তার উম্মতের দলভুক্ত নয়। এছাড়া আরাে বহু হাদীসে এর। পরিচয় দেয়া হয়েছে।

ইলমে দ্বীন এর পরিচিতি ও খাটি আলেমের মর্যাদা |


ইলম অর্থ আল্লাহর আদেশ-নিষেধ, হুকুম-আহকাম এবং নবী করীম (সাঃ)-এর তরীকা, যা কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে বা ইমামগণ যে সব বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছে

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন ?
ব্যাখ্যা করেছেন তা অবগত হওয়াকে ইলমে দ্বীন নামে অভিহিত করা।
يرفع الله الذين أمنوا منگم والذين أوتوا العلم درجات
অর্থ ও “যারা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলকে বিশ্বাস করবে এবং দ্বীনী ইলম। অর্জন করবে, আল্লাহ তা'আলা তাদের মর্তবা অনেক বাড়িয়ে দেবেন।

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন ও সাধারণ মু'মিনদের মর্তবা অপেক্ষা aঐ ইলম অর্জনকারী মুমিনদের মর্যাদা সাতশাে স্তর বেশি হবে এবং প্রত্যেক
স্তরেরর মধ্যবর্তী দূরত্ব পাঁচশাে বছরের রাস্তা হবে। অর্থাৎ সাধারণ ঈমানদারদের মর্যাদার চেয়ে আলেমে বা-আমল ঈমানদারদের মর্যাদা সাড়ে তিন। লক্ষ বছরের দ্রুতগামী ঘােড়ার দূরত্বের রাস্তা হবে।

আল্লাহ পাক আরাে ইরশাদ করেন ? ।
قل هل يستوي الذين يعلمون والذين لا يعلمون -

বলুন! যারা দ্বীনী ইলম অর্জন করেছে এবং যারা দ্বীনী ইলম অর্জন করেনি তারা কি সমান হতে পারে?” কখনাে নয়। | আরাে ইরশাদ হয়েছে ?
انما يخشى الله من عباده العلماء -

“নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে শুধু আলেম (বা-আমল)-রা আল্লাহকে ভয় করে।”
হাদীস শরীফে রয়েছে ?

طلب العلم فريضة على كل مسلم - (
جامع صغير)
 

অর্থ ও “দ্বীনী ইলম শিক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ। (সে পুরুষ হােক আর নারীই হােক।) ফরজ তরক করা কবীরা গুনাহ। ফরজ তরককারী। ফাসিক।
অন্য হাদীসে এসেছে ঃ হলমে দ্বীন শিখার গুরুত্ব ও মাহাত্ম সম্পর্কিত আয়াত এবং হাদীস অনেক। তার মধ্যে কতিপয় নিম্নে পেশ করা হলাে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে ?

فرقة منهم طائفة بيتهوا في
فلولا نفر من
الدين -


“তাদের প্রতিটি দল থেকে কিছু লােক কেন বের হয় না, যাতে তারা দ্বীনি ইলম শিখতে পারে?” (অর্থাৎ প্রতিটি সম্প্রদায় থেকে একটি দল কেন দ্বীনী ইলমে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করার জন্য বের হয়ে আসে না, যেন তারা ফিরে এসে নিজ নিজ সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারে?) | এ প্রসঙ্গে হুযুর আকরাম (সাঃ)-এর পবিত্র বাণী হল

من سلك طريقا يطلب فيه علما سهل الله له

জন্য এবং পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করার প্রতি সুস্পষ্টভাবে উৎসাহিত করেছেন। এর উজ্জ্বল নিদর্শন আমরা নিচের আলােচনা হতে লাভ করতে পারি।
চার, এই মাস চতুষ্টয়ে নিজেদের নফসের উপর জুলুম ও অত্যাচার না করার জন্য দয়াময় আল্লাহ তা'আলা স্বীয় বান্দাদেরকে নির্দেশ করেছেন।


এই ক্ষেত্রে স্মরণ রাখা দরকার যে, নফসের উপর জুলুম করার অর্থ কী এবং কিভাবে নফসের উপর জুলুম করা হয়ে থাকে? আর নফস বলতে আমরা কী বুঝি? সুতরাং পর্যায়ক্রমে এগুলাের বিশ্লেষণ না করা পর্যন্ত এ সকল দিকের মূলতত্ত। উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে না। আসুন আমরা এ দিকে আশু সতর্ক দৃষ্টি প্রদান করি।


নাফসের উপর যুলুম। পবিত্র কুরআনে নফস' শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যথাজীবনীশক্তি, শক্তি, সম্প্রদায়, জীবন, প্রাণ ইত্যাদি। তবে নফস’ বলতে সামগ্রিকভাবে প্রাণকেই বুঝানাে হয়ে থাকে। আর প্রাণই হচ্ছে দেহ কাঠামাের মূল যন্ত্র।

 প্রাণ আছে বলেই দেহ কাঠামাে সচল থাকে। পক্ষান্তরে প্রাণ না থাকলে
দেহ কাঠামাের কোন মূল্যই থাকে না। এই প্রাণ-সত্তাকে আল্লাহর মনােনীত ও | পছন্দনীয় পন্থায় পরিচালিত করাই হলাে প্রকৃত ইবাদত এবং বন্দেগী। কিন্তু
প্রাণ-সত্তাকে আল্লাহর নাফরমানী ও নিষেধের পথে পরিচালিত করাকে জুলুম’ বলা হয়। সুতরাং নফসের উপর জুলুম করার অর্থ হলাে, আল্লাহর নাফরমানীর।

পথে গা ভাসিয়ে দেয়া এবং আল্লাহর আজাব ও গজবের দিকে অগ্রসর হওয়া। ইহা মানুষের ইচ্ছাশক্তি ও ক্রিয়া-কর্মের দ্বারাই পরিসাধিত হয়। মানুষ যদি স্বীয় প্রাণ-সত্তাকে আল্লাহর আদেশ প্রতিপালন ও নিষেধ বর্জনের মাধ্যমে পরিচালিত। করে; তাহলে সে আল্লাহর রেজামন্দি ও সন্তুষ্টি হাসিল করতে সক্ষম হয় এবং নফসের হক আদায়ের পথ উন্মুক্ত করে থাকে।

তা না হলেই নফসের উপর জুলুম করা হয়। পরম করুণাময় আল্লাহ পাক হযরত আদম (আঃ) এর জবান থেকে। তাই উচ্চারিত করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে ?

উচ্চারণ ঃ রাব্বানা জালামনা আনফুছানা।


طريقا إلى الجنة -


অর্থ ঃ “যে ব্যক্তি ইলমে দ্বীন শেখার জন্য পথ চলে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথে চালাবেন।”
রাসূল (সাঃ) আরাে ইরশাদ করেছেন ও ফেরেশতারা ইলমে দ্বীন হাসিলকারীদের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে তাদের জন্য আপন পাখা বিছিয়ে দেন।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন : “যদি ঈমানদার একটি উত্তম কথা শুনে। তদনুযায়ী আমল করে, তবে তার জন্য এক বছরের (নফল) ইবাদত অপেক্ষা উত্তম।” এমনিভাবে বহু হাদীস বর্ণিত আছে।

আরো  পড়ুন: ইংরেজি ভাষা শিক্ষা


আমাদের কিছু কথা

বাংলায় লিখতে গিয়ে যদি কোনো ধরনের ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

এবং যদি আপনাদের কোন ধরনের সাজেশন থাকে তাহলে অবশ্য আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন

আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ

আমাদের এই পোস্টে ভিজিট করার জন্য

এবং যদি ভালো লাগে এই পোস্টটি তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

Post a Comment

0 Comments