হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) জীবনী বিবাহ Part 7 - Islamic Story

 হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) জীবনী বই

হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) জীবনী, Islamic Story

বিবাহ

হযরত খাদীজা ছিলেন মহিলাদের মধ্যে সর্বপ্রথম মুসলমান।
হযরত রাসূলে মাকবুল (সাঃ)-এর সততা, ন্যায়পরায়ণতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও চারিত্রিক গুণের কথা
ন তৎকালীন বহু ধন-দৌলতের অধিকারিণী বিবি খাদীজা তাকে আপন ব্যবসা। পরিচালনা জন্য নিযুক্ত করেন। পরবর্তীতে বিবি খাদিজা স্বয়ং লােক পাঠিয়ে হযরতের সহধর্মিণী হবার প্রস্তাব পাঠান।

হযরত (সাঃ) এর নিকট এই প্রস্তাব আসলে তিনি চাচা আবু তালেবের অনুমতিক্রমে তাকে বিবাহ করেন। এই সময়ে বিবি খাদীজার বয়স চল্লিশ বছর ও হযরত (সাঃ)-এর বয়স ছিল পচিশ।

বিবাহের পর বিবি খাদীজা তার বিশাল ধন-সম্পদ

প্রিয় স্বামী হযরত নবী করীম (সাঃ)-এর পদতলে বিলিয়ে দেন। তার নিকট হতে ধন-সম্পদ পেয়ে রাসূলে করীম (সাঃ) তা অকাতরে গরীব-দুঃখী ও ইসলাম প্রচারের কাজে ব্যয় করেন।


হযরত খাদীজা ছিলেন মহিলাদের মধ্যে সর্বপ্রথম মুসলমান। স্বামীর সুখ-সুবিধা ও ইসলামের উন্নতি বিধান কল্পের তিনি ছিলেন সদা চিন্তিতা। বিবাহিত জীবনেরর পঁচিশ বছর তিনি সর্বদা এই চিন্তাই করতেন। শত্রুর শত। অত্যাচারের মধ্যেও স্বামীর একান্ত সঙ্গিনী ও সাহায্যকারিণী হযরত খাদীজাতুল কোবরা চারি কন্যা রেখে এই ধরাধাম ত্যাগ করেন।

তাঁর ইন্তেকালের পর রাসূলে খােদা (সাঃ) বিশেষভাবে মর্মাহত হন ও একান্তভাবে ভেঙ্গে পড়েন। হযরত খাদীজা ইন্তেকালের সময় চারি কন্যা রেখে যান। দুইজন বিবাহিতা ও দুইজন অবিবাহিতা। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কন্যাদের লালন-পালনের ব্যাপারেও অতি চিন্তিত হলেন। তাঁর এহেন অবস্থা দেখে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব অনেকেই। নানা প্রকার সান্ত্বনার বাণী শুনান। কিন্তু কিছুতেই রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মানসিক অবস্থার কোন পরিবর্তন পরিলক্ষিত হল না।

প্রকাশ,

হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর খালা- প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত ওসমান ইবনে মাযউনের পত্নী হযরত খাওলাহ বিনতে হাকিম রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সমীপে। আজর করলেন - ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাঃ)! আপনার এই মলিন ভাব ও যাতনা আমার অসহ্য লাগতেছে। তাই আমি আপনাকে অনুরােধ করতেছি, আপনি।

পুনরায় বিবাহ করে সুখী হতে চেষ্টা করুন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) উত্তর করলেন, কিন্তু বিবাহ করিব কাকে?
হযরত খাওলাহ উত্তরে বললেন- “ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাঃ)! আপনি অনুমতি। প্রদান করলে কুমারী অথাব বিধবা যে কোন প্রকারের পাত্রীই আপনার জন্য। সংগ্রহ করতে পারব। আপনার মর্জির উপরই সমস্ত নির্ভরশীল।”

রাসূলাল্লাহ (সাঃ) বলরেন, “সে পাত্রী কে? আমার নিকট খুলে বলুন।” বাঙলাহ (সাঃ)-এর খেদমতে পেশ করলেন। তিনি বললেন, “হয়ত বুবকরের কন্যা আয়েশা এখনও ছােট বালিকা। সংসারের কাজ বিশেষ করে আপনার মাতৃহারা কন্যাদের লালন-পালন তার দ্বারা সুচারুরূপে সমাধা হবে না । পক্ষান্তরে সাওদাহর দ্বারা আপনার এই সমুদয় কাজ অতিশয় সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সমাধা হবে।”

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, “আপনি তাদের সহিত যােগাযােগ করুন।” ছােকরানের বিধবা স্ত্রী ছিলেন একজন মুহাজের রমণী। অতি কষ্টে তার দিন। কাটত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)- এর এই বিপদের দিনে নবী পরিবারের কিছু সেবা।

করবার জন্য তাঁর প্রাণ ব্যাকুল হয়ে পড়ল। আল্লাহ তায়ালা তার মনােবাসনা পূর্ণ হবার একটা ব্যবস্থা করে দিলেন। কারণ তাঁর হাতে কন্যাদ্বয়ের লান-পালনের ভার দিয়ে তিনি অনেকটা নিশ্চিত হতে পারবেন। যথাসময়ে সাওদাহর সাথে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর বিবাহ হয়ে গেল।

পারিবারিক কাজ-কর্ম এবং কন্যাদের দেখা-শুনা ঠিকমত চলল। কিন্তু কোথাও যেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কিসের অভাব অনুভ করতেছেন। তাঁর মানসিক অবস্থার কোন পরিবর্তন সাধিত হল না। এসব দেখে হযরত খাওলাহ হযরত আবুবকরের নিকট রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে আয়েশার বিবাহের প্রস্তাব উত্থাপন করলেন।

এই প্রস্তাবে হযরত আবুবকর (রাঃ) খুশি হলেও, তৎকালীন সামাজিক অবস্থানের দরুণ একটু চিন্তান্বিত হলেন। কারণ তখনকার সামাজিক প্রথা অনুসারে আপন ভাইদের কন্যার ন্যায় ধর্মীয় ভাইয়ের কন্যাকেও বিবাহ করা অবৈধ ছিল। তাই হযরত আবুবরক (রাঃ) হযরত খাওলাহ (রাঃ)-কে বললেন, “ইহা কি প্রকারে সম্ভব? কেননা আয়েশা তার ভাইয়ের মেয়ে।”
 

হযরত আবুবকরের এ কথা হযরত খাওলাহ (রাঃ) নবী করীম (সাঃ)-এর। নিকট এসে ব্যক্ত করলেন। হযরত খাওলাহ মুখে হযরত আবুবকরের (রাঃ)।

মনেরভাব জানতে পেরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করলেন, “ইহা অন্ধকার যুগের।
মার, ধর্মীয় ভাইয়ের কন্যা শরীয়ত মােতাবেক বিবাহে নাজায়েযের কিছু নেই।
হযরত আবুবকর (রাঃ) শরীয়তের বিধানে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়লেন।

এখানে একটি বিষয় আলােচনা সাপেক্ষ। হযরত খাওলাহ রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে আয়েশার বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার পূর্বেই যুবায়ের বিন মতয়িমের ছেলে সাথে আয়েশার বিবাহের কথা অনেকটা পাকাপাকি হয়েছিল। তাই হযরত আবুবকর যুবায়েরের সাথে আয়েশার বিবাহের ব্যাপারে তার। মতামত শেষবারের মত একটু জানবার প্রয়ােজন মনে করলেন। তাই যহরত আবুবকর যুবারের নিকট তার পুত্রের সাথে আয়েশার বিবাহের ব্যাপারে তার অভিমত কি জিজ্ঞাসা করলেন। যুবারের হযরত আবুবকরকে স্বয়ং কোন জবান না। দিয়ে তার স্ত্রী মতামত জানতে চাইলেন

যুবারের পরিবার তখনও অমুসলিম। তাই তার স্ত্রী পুত্রের জন্য আয়েশাকে পুত্রবধূরূপে ঘরে আনতে অসম্মতি জ্ঞাপন করল। সে ভেবেছে হযরত আয়েশার। মত মেয়েকে পুত্রবধূ করে আনলে পরিণামে পুত্রকেই হারাতে হবে।
তাদের মনােভাব পরিষ্কার জানতে পেরে আবুবকর (রাঃ) যেন হাঠ ছেড়ে বাঁচলেন।

এদিকে হযরত খাওলাহ রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সাথে আয়েশার বিবাহের ব্যাপারে আগ্রহ সহকারে কথা আদান-প্রদান করতে লাগলেন তার এই ব্যাপরে যােগ দিলেন হযরতের নববিবাহিতা পত্নী হযরত সাওদাহ (রাঃ)। তিনিও রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট প্রস্তাব করলেন যে, আপনি আয়েশাকে বিবাহ করুন।।

ছহীহ হাদীস বােখারী শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত আয়েমা সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) স্বপ্নে দেখলেন ফেরেশতাগণ রেশমী কাপড়ে জড়ান একটি বস্তু রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর খেদমতে পেশ করলেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ফেরেশতাগণকে জিজ্ঞাসা করলেন, ইহা কি? তারা উত্তর করলেনর, আপনার মহীয়সী। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)। মােড়ক খুলে দেখলেন এতে তার বিবাহের প্রস্তাবিত স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) রয়েছেন। | এই স্বপ্নের পর রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর অন্তরে হযরত আয়েমাকে বিবাহ। করবার আগ্রহ দেখা দিল। বিশেষ করে হযরত খাওলাহ (রাঃ) বলেছিলেন, হুজুর! আপনি হযরত আয়েশা (রাঃ)-কে বিবাহ করলে সমাজে অতি পুরাতন

কুসংস্কার চিরতরে বিলােপ হয়ে যাবে। সমাজ জানতে পারবে, ধর্মীয় ভাইয়ের কন্যা বিবাহ করতে শরীয়তে কোন বাধা-নিষেধ নাই। এই কথা চিন্তা করে হযরত (সাঃ) তাঁর বাল্য বন্ধু, যৌবনের সাথী, ইসলাম জগতের পহেলা মুসলমান, সুখ-দুঃখে ছায়ার ন্যায় বিরাজকারী, হিজরতের নির্জন গুহার একান্ত বিশ্বস্ত সহচর হযরত আবুবকরের কন্যাকে বিবাহ করতে মনস্থির করে ফেললেন।

কিন্তু একটি মানসিক বাধা এসে তার সম্মুখে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করল। তা হল সমাজের সমালােচনা। কারণ লােকে বলবে, হযরত (সাঃ) বহু বিবাহে আকাক্ষী। শেষ পর্যন্ত তা টিকতে পারল না। | বিবাহের আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা উভয় পক্ষের মধ্যে আলাপ আলােচনার পর নবুওতের দশম সালের ২৫ শে শাওয়াল তােমাবেক ৬২০ সালের মে মাখে পাচশত দিরহাম মােহর ধার্য করে আরবের চিরাচরিত প্রথার শিরে কুঠারাগহাত করে বিনা আড়ম্বরে হযরত রাসূলে করীম (সাঃ)-এর সাথে আয়েশার বিবাহপর্ব।

অনুষ্ঠিত হয় এই বিবাহ অনুষ্ঠানে তৎকালীন গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে আবু কোহাফা, হযরত খাওলাহ (রাঃ)-এর স্বামী, ওসমান ইবনে মাজউন, হযরত আব্বাস (রাঃ), হযরত হামযাহ (রাঃ), হযরত আয়েশার বান্ধবী আতিয়াহ, উম্মে হানী, হযরত খাওলাহ এবং উম্মে রুমান অন্যতম।।

বিবাহের সময় আয়েশার বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর। তিনি পিত্রালয়েই থেকে যান।
্রাকৃতিক প্রভাবে দেখা যায়, উষ্ণ দেশীয় লােকজন শারীরিক দিক দিয়ে। নাতিশীতােষ্ণ দেশীয় লােকদের অপেক্ষা অধিক বাড়ন্ত হয়ে থাকে।

বিশেষ করে যাদের ধী-শক্তি যত প্রখর, তাদের শারীরিক হৃষ্ট-পুষ্টতাও তেমন মানসিক সাম স্য বজায় রেখে তালে তালে বাড়িয়ে চলে। হযরত আয়েশার শারীরিক গঠনে। তার কোন ব্যকিক্রম ছিল না। ছয় বৎসর বয়সেই তাকে দশ-বারাে বছরের বালিকার ন্যায় দেখাত।

বিবাহের পর দীর্ঘ তিন বছর পর দশ বছর বয়সে তিনি প্রথম স্বামী গৃহে গমন করেন।
বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সমালােক বলে থাকেন, পঞ্চাশাের্ধ প্রৌঢ়ের সাথে ছয় বছরের একটি বালিকার বিবাহ সত্যিই আপত্তিকর। তাদের জানা দরকার ছিল, যখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর বয়স মাত্র পঁচিশ বছর তণ তাঁর সাথে যেথন চল্লিশ র বয়স্কা মহিলার বিবাহ আপত্তিকর কিছু ছিল না, এই ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম কছ ঘটে নাই।

বিশেষ করে যে সকল মাহমানবের সাহচর্য লাভ করে অতি ভঘন্য মানুষ এই নিমিষে একজন ইতিহাস প্রসিদ্ধ মানুষ হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিতে সমর্থ হয়েছেন, তাদের কথা বা কাজ নিয়ে আমাদের সমালােচনা করা অতি মূর্খতা ছাড়া আর কিইবা হতে পারে?


হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর সখী আতিয়াহ বলেন, যেদিন হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর বিবাহ অনুষ্ঠিত হয় সেদিনও আয়েশা খেলার সাথীদের নিয়ে খেলায়। মগ্ন। তার মা এসে তাকে ধরে নিয়ে যান এবং হযরত আবুবকর তার পড়িয়ে। দিন'।

হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

আমার যে বিবাহ হয়েছিল আমি এই বিষয়ে কিছুই জানতাম না। আমার মা বলতেন, তােমার বিবাহ হয়েছে, বাহিরে যাবে না। তখন বুঝতে পারলাম, আমার বিবাহ হয়েছে।
 হযরত মাওলানা ইসমাঈল বােখারী ছিহাহ ছিত্তার অন্যতম গ্রন্থ বােখারী শরীফে বর্ণনা করিয়াছেন, হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর বিবাহের সময় তাঁর বয়স ছয় বছরই ছিল।
 
 কিন্তু রুছমত হয়েছিল চৌদ্দ বছর বয়সে। আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী স্বরচিত বােখারী শরীফের ব্যাখ্যা আইনী কিতাবে বর্ণনা করেছেন যে, হিজরতের দুই বছর পূর্বে হযরত (সাঃ)-এর সাথে হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর বিবাহ হয়েছিল।

কোন কোন বর্ণনায় দেখা যায়,

হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর ইন্তেকালের তিন বছর পর হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। আবার কোন কোন জীবনীকার লিখেছেন, হযরত খাদীজার ইন্তেকালের বৎসরই হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর বিবাহ হয়। | মুহাদ্দিছ ও ঐতিহাসিকগণের এই সকল মতভেদের দরুন হযরত আয়েশা। (রাঃ)-এর বয়স ও বিবাহের তারিখ নির্ণয় করা বেশ কষ্টসাধ্য। তবে সমস্ত ঘটনা।
 
ও বর্ণনা বিশেষভাবে পর্যালােচনা করলে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, হযরত সা'দ ইবনে হাজার যে অভিমত ব্যক্ত করেছেন তাই নির্ভরযােগ্য। কারণ তিনি উল্লেখ করেছেন, যখন হযরত (সাঃ)-এর সাথে আয়েশার বিবাহ অনুষ্ঠিত হয় তখন তাঁর বয়স নয় বছর এবং রুছমতের সময় তার বয়স ছিল চৌদ্দ বছর।

এতদসত্ত্বেও অধিক প্রচারিত ও সর্বজন স্বীকৃত বিবাহ

তারিখটি হল হযরত আয়েশার বিবাহ হয়েছিল ছয় বছরের শেষের দিকে এবং রুছমত হয়েছিল হিজরতের পর মদীনায় নয় বছরের মেষ পর্যায়ে।

তবে এই মতভেদ-এর প্রকৃত মীমাংসায় পৌছার একমাত্র পথ ছিল যদি হযরত আয়েশার নিকট হতে কোন একটি সুনির্দিষ্ট হাদীস বর্ণিত হত। কিন্তু। তাহাও পাওয়া যায় নি। কেননা তার পক্ষ হতে দুই প্রকার বর্ণনা রয়েছে।

তিনি এক স্থানে বর্ণনা করেছেন- হযরত খাদীজার মৃত্যুর তিন বছসর পর তাহার বিবাহ হয়। অন্য স্থানে বলেছেন, যে বছর হযরত খাদীজা ইন্তেকাল করেন সে বছরই তার বিবাহ হয়। কাজেই তার বর্ণনার উপরও নির্ভর করা যায় না। মনে হয় আয়েশার বর্ণনা উল্লেখ করতে মুহাদ্দিছগণ ভুল করেছেন। কেননা যে বছর হযরত খাদীজা ইন্তেকাল করেন সেই বছরই আয়েশার বিবাহ হয়েছে বলে অধিক রেওয়ায়েত রয়েছে।

অন্য একটি ঘটনা সঠিকভাবে জানতে পারলেও হয়রত আয়েশার বিবাহের তারিখ নির্ণয় করা যেত। তা হল, হযরত খাদীজার ইন্তেকাল। কিন্তু তাহার ইন্তেকালের তারিখ সম্বন্ধেও সকলে একমত নয়। এক বর্ণনায় আছে, হযরত খাদীজা হিজরতের তিন বছর পূর্বে এবং অন্য বর্ণনায় আছে চার বছর পূর্বে ইন্তেকাল করেছেন।

যাই হউক অধিক সংখ্যক বর্ণনায়

এবং মসনাদে উল্লেখ আছে হযরত খাদীজা (রাঃ) নবুওতের দশম বর্ষে রমজান মাসে অর্থাৎ হিজরতের তিন বছর পূর্বে ইন্তেকাল করেন। এর পর শাওয়াল মাসে হযরত আয়েশার বিবাহ রেওয়ায়েত রয়েছে।


আমাদের কিছু কথা

বাংলায় লিখতে গিয়ে যদি কোনো ধরনের ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

এবং যদি আপনাদের কোন ধরনের সাজেশন থাকে তাহলে অবশ্য আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন

আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ

আমাদের এই পোস্টে ভিজিট করার জন্য

এবং যদি ভালো লাগে এই পোস্টটি তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

Post a Comment

0 Comments