হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) পরিচিতি - Part 6 - Islamic History Bangla

 হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) জীবনী বই Part 6

হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) জীবনী, Islamic History Bangla

পরিচিতি

‘ছুরীদ’ যেমন খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ, তেমনি রমনীদের মধ্যে আয়েশা শ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারিণী। রমণীদের মধ্যে হযরত ঈসা (আঃ)-এর জননী এবং ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়া ব্যতীত অপর কোন মহিলা আয়েশা হতে মর্যাদার চরম শিখরে আরােহণ করতে পারেন নাই। হুযুর (সাঃ)-এর বিবিগণের মধ্যে আয়েশা (রাঃ) ছিলেন তৃতীয়। হিজরী ৩য় সনে, নবুওতের দশম সালে ২৫শে শাওয়াল মােতাবেক ৬২০ সালের মে মাসে বিনা আড়ম্বরে পাঁচশত দিরহাম মােহর ধার্যে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

হযরত আয়েশা (রাঃ) ছিলেন, হুযুর (সাঃ)-এর বিবিগণের মধ্যে তীক্ষ্ম মেধাশক্তিসম্পন্না, বিদূষী, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী, গৃহকর্মে সুনিপুণা, শিক্ষয়িত্রী, সত্যের সাধিকা, অগ্নিবর্ষী বাগীশ, সচ্চরিত্রবতী, মধুর আলাপী। মানবীয় গুণের সকল গুণের আধার বলা যায়।।

নাম ও বংশ পরিচয়

পৈত্রক নামানুসারে লবক ছিদ্দীকা। আসল নাম আয়েশা। কুনিয়াত উম্মুল মু'মিনীন ও উম্মে আব্দুল্লাহ। লবক হিসাবে তিনি মােহাইরা নামেও অভিহিতা হইতেন।
প্রকাশ থাকে যে, উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা ছিলেন নিঃসন্তান। একদা তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট আজ করলেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ!

আপনার অন্যান্য স্ত্রীগণ তাদের পূর্ব সন্তানগণের নামানুসারে কুনিয়াত গ্রহণ করিয়াছেন আমি কার নামে কুনিয়াত রাখব? রাসূল করীম (সাঃ) বললেনআপনার বােনের বেটা আব্দুল্লাহর নামে আপনি কুনিয়াত গ্রহণ করুন। এরপর হতে উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা উম্মে আব্দুল্লাহ নামে পরিচিত হন। এই আব্দুল্লাহ হরেন- তাঁর বৈমাত্রের জ্যোষ্ঠা বােন হ্যর আসমান পুত্র।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকে মােমাইরা লবক বলে এই নামেই বেশি ডাকতেন। কারণ তার গায়ের রং গৌর বর্ণ ছিলবিধায়।।

পিতার নাম আবদুল্লাহ, কুনিয়াত আবুবকর, লবক ছিদ্দীক। মাতার নাম উম্মে রুমান।।

পিতার দিক হতে তার বংশ তালিকা নিম্নরূপ ও আয়েশা বিনতে আবু বকর। ইবনে আবু কোহাফা ইবনে ওসমান ইবনে আমের ইবনে ওমর ইবনে ফিহর ইবনে মালেক।

আর মায়ের দিক হতে বংশ পরিচয় হচ্ছে ঃ আয়েশা বিনতে উম্মে রুমান। বিনতে আমের ইবনে উআইমির ইবনে আবদ শামছ ইবনে ইতাব ইবনে উযাইনা। ইবনে সাবী ইবনে দাহমান ইবনে হাছির ইবনে গানায় ইবনে মারেক ইবনে কেনানাহ।।
 

এমতাবস্থায় আমরা দেখতে পাই, বংশ পরম্পরা হযরত আয়েশার পিতার দিক দিয়ে কোরাইশিয়া তাইমিয়াহ এবং মাতার দিক দিয়ে কোনানিয়া গােত্রে মিলিত হইয়েছে। মােটকথা, হযরত আয়েশার পিতৃকুল অষ্টম এবং মাতৃকুল দ্বাদশ পুরুষে এক হয়ে গিয়েছে।।

জন্মগ্রহণ

হযরত আয়েশার জন্মে সময় ক্ষণ তারিখ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ঐতিহাসিকগণ সঠিকভাবে তা নিরুপণ করতে পারেন নাই। তবে বিখ্যাত ইতিহাস শাস্ত্রবিধ ইবনে সায়াদ লিখিয়াছেন- নবুওতের চতুর্থ সালের প্রথম দিকে উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা জন্মগ্রহণ করেন। আবার কোন ঐতিহাসিক লিখিয়াছেন- হযরত আয়েশা নবুওতের দ্বিতীয় সালে জন্মগ্রহণ করিয়াছেন।

তার সঠিক জন্ম তারিখ যাই হউক না কেন- দেদিন তিনি উম্মে রুমানের গর্ভ হতে হযরত আবুবকরের ঘরে আগমন করিলেন তখন কে জানিত- এই ছােট শিশু কন্যাটির নাম পরবর্তীকালে একজন ইতিহাসপ্রসিদ্ধ নারীরূপে ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে। কেই বা ভাবিয়াছেল এই কন্যাটিই হতে। মাহবুবে খােদ সাইয়্যেদুল মুরসালীন কাতিমুন নাবিয়্যিন হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা । (সাঃ)-এর অতি স্নেহের মহীয়সী।

আরবের আজন্ম প্রথা

তদুপরি কোরাই পরিবারের ঐতিহ্যযানুযায়ী তাঁকে লালন-পালনের ভার দেন ওয়ায়েরের স্ত্রীর উপর। ওয়ায়েলের স্ত্রী পরম আদর-যত্নের সাথে তাকে লালন-পান করেন। ওয়ায়েলও আয়েশাকে অতিশয় স্নেহ করতেন। পরবর্তীকালে এই ওয়ায়েল এবং তার সন্তান এমন কি ওয়ায়েলের।

 এসে হযরত আয়েশার খোঁজ-খবর নিতেন। একদা ওয়ায়েলের ভাই। লাহ হযরত আয়েশার সাথে দেখা করতে আসেন। সে সময় তিনি পরিণত মা এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর ঘরে অবস্থান করিতেছেন। হযরত আয়েশা ললাহর অনুমতি নিয়ে তার সাথে দেখা করে কুশলাদি আদান-প্রদান করেন।

দুধ ভাইগণও সদা-সর্বদা তার সাথে দেখা করতে আসত। অর্থাৎ হযরত আয়েশা ওয়ায়েল পরিবারের একান্ত আপন ও ঘনিষ্ঠ ছিলেন এটাই হল তার। প্রকৃষ্ট প্রমাণ।

শৈশব কাল

হযরত আয়েশা অপরাপর শিশুদের ন্যায় ছিলেন না। হযরত আয়েশার জীবনী লিখতে গেলে বহুল প্রচলিত ইংরেজি প্রবাদ মর্নিং সােজ দি ডে’ অর্থাৎ ঊষার কিরণ দেয়ার সাথে সাথেই দিনের অবস্থা কেমন হবে অনেক উপলব্ধি করা। যায়। শিশুর শৈশব অবস্থার প্রতি একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে বুঝা যায় এই শিশু তার বয়ঃপ্রাপ্তকালে তেমন হবে।

তার পরবর্তী কর্মজীবনের অনেক কিছুই এই শৈশবকালেই তার চাল-চলন, কথাবার্তা, উঠা-বসা, আচার-ব্যবহার এবং মেধাশক্তির দ্বারা পরিষ্কারভাবে সমাজের অপরাপরের নিকট, বিশেষ করে আপন পরিবার-পরিজনের নিকট দিবালােকের ন্যায় উজ্জ্বল হয়ে দেখা দেয়।

চরিত্রে যে সকল বৈশিষ্ট্য সাধারণঃ

সর্বত্রই দেখা যায় হযরত আয়েশা কোন। - মতেই তার ব্যতিক্রম ছিলেন না। অপরাপর শিশুদের ন্যায়
তিনিও অধিকাংশ সময় খেলা-ধূলা,আমােদ-ফুর্তি, দৌড়াদৌড়ি করে কাটাতেন।

প্রতিবেশি সম-বয়সীদিগকে একত্র করে খেলাধূলা করতেন। মহল্লার অপরাপর চঞ্চলমতি শিশুরাও পরম আনন্দের সাথে তাঁর সাথী হয়ে খেলা করতে অতিশয় ভালবাসত। তার অতি প্রিয় ছিল দোলনায় দোলা, পুতুল খেলা, চড় ই ভাতি, দৌড়। প্রতিযােগিতা। | খেলাচ্ছলে দোলার তালে তালে তিনি যখন আরবি কবিতা এবং কোরআন। শরীফের আয়াত কচি মুখে পাঠ করতেন তখন এক অপূর্ব সুরের দ্যোতনা সৃষ্টি হত যা পথিকের পথ চলা রােধ করে দিত।

হযরত রাসূলে আকরাম (সাঃ) প্রায়ই প্রিয় বন্ধু ও সহচর হযরত আবুবকরের ঘরে যাওয়া-আসা করতেন। হযরতের আগমরেন আভাস পেলেই সাথী-সঙ্গী। মা হযরত আয়েশা খেলার জিনিসপত্র নিয়ে ছুটে পালাতেন। একদিন তারা।

পালাবার সুযােগ পেল না। হুযুর (সাঃ) ধীরপদে তাদের কাছে যেয়ে দাড়ালে। তিনি ছােট শিশুদিগকে প্রাণের চেয়েও ভালবাসতেন। তাই তাদের খেলাকে কে মতে অপছন্দ করতেন না। তাদের সাথে আলাপ-আলােচনার জন্য আরাে কত ডাকতেন। অথচ হযরত আয়েশা পুতুল খেলায় মগ্ন । তিনি আপন স্থান একটুও নড়লেন। না।।

হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) ধীরে ধীরে তাঁর নিকট গেলেন। তিনি রয়েছে। দেখলেন, আশেয়া যে ঘােড়ার পুতুল নিয়ে খেলা করতেছেন তার দুখানা পাখা।
এই ছােট শিশুর সাথে আলাপ করবার মানসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হযরত আয়েশাকে জিজ্ঞাসা করলেন- আয়েশা! তােমার হাতে এটা আবার কি?

হযরত আয়েশা উত্তর করলেন- এটা একটি ঘােড়া। হযরত (সাঃ) আবার বললেন- ঘােড়ার তাে পাখা হয় না?
হযরত আয়েশা উত্তর দিলেন- কে বলেছে ঘােড়ার পাখা হয় না? আপনার কি জানা নাই হযরত সােলাইমানের ঘােড়ার পাখা ছিল?
হযরত আয়েশার এই অল্প বয়সের এমন অভাবিত উত্তর শ্রবণ করে হযরত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হতবাক হয়ে গেণে। উপস্থিত জবাবে হযরত আয়েশা শিশুকাল হতে কেমন ধী-শক্তি সম্পন্ন ছিলেন তার নজীর এখানে পাওয়া যায়।

হযরত আয়েশা কেমন মেধাবিনী ছিলেন

আমরা এখানে উহার যৎকিঞ্চিত আলােচনা করব। একদা হযরত আবুবকর শুনতে পেলেন, তাঁর শিশু কন্যা হযরত আয়েশা তৎকালীন আরবি সাহিত্যে বিখ্যাত কবি লবিদের একটি কবিতা আবৃত্তি। করতেছেন। আর এই কবিতাটিই হযরত আবুবকর আয়েশার সামনে একবার মাত্র পাঠ করেছিলেন। কন্যার এই স্মৃতিশক্তি দেখে পিতার অন্তর খুশিতে ভরে। উঠল।

সময়, কালের পরিপ্রেক্ষিতে হযরত জিব্রাইল (আঃ) আল্লাহর পক্ষ হতে। কোরআনের আয়াত নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর খেদমতে উপস্থিত হতেন। পরক্ষণেই উপস্থিত সাহাবাগণ তা মুখস্থ করে নিতেন। সাহাবাগণ বাড়ি ফিরে এ। আয়াত অন্যান্য সদস্যগণকে শুনাতেন আর তারাও তা মুখস্থ করে নিত। 

হযরত আয়েশা পিতার নিকট কোরআন শরীফের আয়াত শুনেই তা মুখস্থ করে ফেলতেন। অথচ এই বয়সের শিশুরা কোন কথাই মনােযােগ সহকারে শ্রবণ হবে না। কিন্তু হযরত আয়েশা এ অল্প বয়সে যাই শুনতেন তাই তার স্মৃতিপটে কিত হয়ে যেত।

কন্যার এইরূপ মেধাশক্তি দেখে হযরত আবুবকর আল্লাহর আছে মুনাজাত করতেন- হে পরওয়ারদেগার! তুমি আমার এই শিশু কন্যার। প্রয় দান কর এবং তার উছিলায় আমাদের বংশের গৌরব বৃদ্ধি কর। পরিণামে তার দ্বারা জগতে ইসলামের বহু জটিল সমস্যার সমাধান হয়েছিল তা আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী।

হযরত আবুবকর ছিলেন তৎকালীন পণ্ডিত ব্যক্তিগণের অন্যতম।
বংশ পরিচয়ের ইতিহাস তার যুগে অপর কেহই এত পুংখানুপুংখরূপে জানত না। তাই আরবের লােকজন সর্বদা তাঁর নিকট এসে আপন গােত্রীয় বংশ পরিচয় জেনে নিত। হযরত আয়েশা পিতার এই গুণটি ছােট বেলায়ই আয়ত্ত করে নেন।

পরবর্তীকালে দেখা যায়, হযরত আমীর মাবিয়াহ তার রাজত্বকালে আরব জাতির বংশ ইতিহাস রচনা করবার সময় ঐতিহাসিকগণকে হযরত আয়েশার নিকট হতে এই বিষয়ে মাল-মসলা সংগ্রহ করবার জন্য আদেশ প্রদান করেছিলেন।

মক্কার কাফেরদের অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে, রাসূল (সাঃ) সিদ্ধান্ত নিলেন হিজরতের।
মদিনাকেই হিজরতের উপযুক্ত মনে করে তিনি সিদ্ধান্তে অটল রইলেন। এই সময় হযরত আয়েশার বয়স মাত্র আট বছর। এই আট বছর বয়সের সংঘটিত ঘটনার ব্যাপারে হযরত আয়েশা হতে যেমন নির্ভুল হাদীস বর্ণিত হয়েছে, অপর কোন সাহাবী এমন সুন্দর প্রকৃত তথ্য বর্ণনা করতে পারেন নাই।

লেখা-পড়ার

তখনকার আরবে, অর্থাৎ আয়ামে জায়েলিয়াতের যুগে লেখা-পড়ার • সুযােগ-সুবিধা ছিলই না, তদুপরি নানা কুসংস্কারে মধ্যে তারা বসবাস করতাে। লেখাপড়ার গণ্ডি ছিল একেবারেই সীমিত। বিশেষ করে তৎকালীন আরব বর্বর জাতির লেখা পড়ার প্রতি কোন আসক্তিই ছিল না।

সম্ভ্রান্ত পরিবারের লােকেরা। কিছু কিছু বিদ্যার্জন করত। হযরত আবুবকর (রাঃ) ছিলেন তৎকালীন আরবের। মুষ্টিমেয় কয়েকজন বিদ্বানের অন্যতম। তিনিই কন্যা হযরত আয়েশার লেখা-পড়ার ভার গ্রহণ করেন।

বালিকা আয়েশা একান্ত মনােযােগের সাথে পিতার নিকট হতে সে। সময়কার বিদ্যা আচার-ব্যবহারে, স্বভাব-চরিত্রে অল্প দিনের মধ্যে হযরত আয়েশা সুযােগ্য পিতার সকল গুণাবলীই আয়ত্ত করে নিতে সমর্থ হন। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) -৪

রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর দরবার হতে কোরআন শরীফের কোন নূতন আয়া শুনে এসে তিনি আয়েশাকে শিক্ষা দিতেন। আর আয়েশাও আগ্রহ সহকারে তা মুখস্থ করে নিতেন। ইতােমধ্যেই তিনি ইসলামের হুকুম-আহকাম, নামায, রোয়ইত্যাদি অনুষ্ঠানগুলাে যথারীতি আদায় করতে বেশ যত্নবান হলেন।

তৎকালে আরবে লেখা-পড়ার চর্চা ছিল না বললেন চলে। তাদের মদ্ধে মহিলাদের সংখ্যা ছিল অতি নগণ্য। ইসলামের প্রথম দিকে শিক্ষিত পুরুষ এবং মহিলা ছিল সর্বমােট চল্লিশজন। তাঁদের মধ্যে মহিলা বিদূষী শাফা বিনতে আবদুল্লাহ আদকিয়া ছিলেন অন্যতম।

এই বিদূষী মহিলাকে হযরত আবুবরক আপন কন্যা হযরত আয়েশার গৃহ শিক্ষয়িত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন। তিনি বিশেষ যত্ন সহকারে তকে সর্ব বিষয়ে শিক্ষা দান করে উপযুক্ত শিষ্যা হিসেবে গডে। তােলেন।

এই গৃহ শিক্ষয়িত্রী ও পিতার অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলেই পরিণত বয়সে। এবং কর্মময় জীবনে হযরত আয়েশা (রাঃ) ইসলামের ইতিহাসে এক নজীরবিঈন অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।

পুথিগত বিদ্যা শিক্ষালাভ করেই হযরত আয়েশা ক্ষান্ত হন নাই। আদর্শ গৃহিণী, ধর্মপরায়ণতা, মায়ের কাছে থেকে তিনি গৃহ কর্মেও পারদর্শী হয়েছিলেন। হযরত আবুবকর প্রিয় কন্যা আয়েশার চরিত্র গঠনে নিম্নরূপ পদ্ধতিতে শিক্ষা দান
করতেন ।

আল্লাহর বহু গুণবাচক নামের মধ্যে “রহমান” অন্যতম।

তিনি বলতেন আল্লাহর স্বভাবে নিজের স্বভাবকে রূপায়িত করে নাও। তাঁর মেহেরবানীতে এই বিশ্ব চরাচর সজীব ও সতেজ রয়েছে। তার অপর গুণবাচক নাম ‘গফুর। আমরা। প্রতিনিয়ত যে সমস্ত অন্যায়, অত্যাচার ও ত্রুটি-বিচ্যুতি করতেছি তিনি সে নামের মাহাত্মে আমাদিগকে ক্ষমা করে দিবেন। 

আল্লাহ্ রাব্বল আলামীনের অপর গুণবাচক নাম সাত্তার। আমরা যত প্রকার খারাপ ও অন্যায় কাজ করি, আল্লাহ পাক তাহা গােপন রাখেন।অতএব তুমি আপন চরিত্র এই সকল গুণাবলী প্রতিটি কাজে ও কমে। রূপায়িত করে আপন চরিত্রকে মাধুর্যময় করে যত্নবান হবে।

পিতার মহামূল্যবান। উপদেশ হযরত আয়েশা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে এমন চরিত্রের অধিকারিণী। হন। সেই সঙ্গে হুযুর (সাঃ)-এর যােগ্য সহধর্মীনি হিসাবে দুনিয়া এবং আখিরাতে। বিশেষ অবস্থানে গড়ে উঠেছেন।


আমাদের কিছু কথা

বাংলায় লিখতে গিয়ে যদি কোনো ধরনের ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

এবং যদি আপনাদের কোন ধরনের সাজেশন থাকে তাহলে অবশ্য আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন

আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ

আমাদের এই পোস্টে ভিজিট করার জন্য

এবং যদি ভালো লাগে এই পোস্টটি তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

Post a Comment

0 Comments