হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) জীবনী Part 10 - Islamic History Bangla

 হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) জীবনী বই

হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) জীবনী, Islamic History Bangla

সাংসারিক জীবন

পৈত্রিক সূত্রেই হযরত আবুবকর ছিলেন একজন ধনবান ব্যক্তি। তাঁর অগাধ
আয় ছিল। তাই পিতৃগৃহে আয়েশা কোন সময়ই অভাব-অনটন দেখেন নাই । অভাব কাকে বলে সে সম্বন্ধে তাঁর কোন ধারণাই ছিল না। কিন্তু পতিগৃহে গমন করেই তিনি তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করলেন।

পাঠকগণ! পূর্বেই পাঠ করেছেন যে, পতিগৃহে প্রথম দিন আগমন করেই হযরত আয়েশা জনৈক সাহাবী প্রদত্ত এক পেয়ালা দুধের কিছু অংশ পান করে দিন কাটিয়েছিলেন। শুধু খাওয়া-পরার ব্যাপারেই নয়, সংসার জীবনের সব ক্ষেত্রেই অতি দীনহীনভাবে তাকে কালাতিপাত করতে হয়েছে।

হযরত আয়েশা থাকবার জন্য যে গৃহখানা লাভ করেছিলেন

তা ছিল ছয় হাত প্রস্থ ও সাত হাত দৈর্ঘ্য। দেয়াল ছিল মাটির তৈরি আর ছাদের আবরণ ছিল। খেজুর পাতার। মেঝেতে দাঁড়িয়ে অনায়াসেই উহার ছাদের নাগাল পাওয়া যেত। বৃষ্টি-বাদলার দিনে একখানা কম্বল ছাদের উপরে বিছায়ে দিতে হত।

বাহির দিকে ঘরের একটি মাত্র দরজা ছিল। একখানা কাঠ দ্বারা দরজার কপাটের কাজ চলত। পর্দা হিসেবে একখানা কম্বল দরজায় ঝুলিয়ে রাখা হত। ঘরখানা দেখতে মসজিদে নববীর একটি অংশ বলে মনে হত। ঘর হতে মসজিদে যাওয়ার জন্য একটি খিড়কী পথ ছিল। নবী করীম (সাঃ) এই পথে মসজিদে আসা-যাওয়া। কতেন।

ঘরে আসবাবপত্র ছিল না বললেই চলে। ঘরের প্রতি তাকালেই গৃহ মালিকের আর্থিক অবস্থার পুরাপুরি একটি ধারণা সকলের নজরে পড়ত। নবী করীম (সাঃ) আয়েশার গৃহে প্রবেশ করে প্রায়ই বলতেন, আদম সন্তান অতিশয় দনের কাঙ্গাল। দুটি ধন-সম্পদের পরিপূর্ণ ময়দান প্রদান করলেও তাদের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয় না। তারা আরও একটি পাওয়ার আশায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে।

কেবল মাত্র মাটিই তাদের এই লালসার পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারে। শুধু নামায, যাকাত ও আল্লাহর প্রতি মনােযােগ স্থির রাখবার জন্যই ধর্মের প্রয়ােজন। ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলাে যথাবিহিত পালন করলে আল্লাহতায়ালা সন্তুষ্ট হন। ধন-সম্পদের প্রতি মানব সন্তানদের যে একটি জন্মগত মােহ আছে তার অসারতা বুঝাবার জন্যই নবী করীম (সাঃ) আপন পরিবার-পরিজনদের উদ্দেশ্য করে এই উপদেশবাণী বলতেন।

আল্লাহর প্রিয় নবী হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) যে ঘরে বসবাস করতেন তা। ছিল হযরত আয়েশার ঘর সংলগ্ন অপর একটি পর্ণ কুটির। মাশবারা নামে। পরিচিত এই ক্ষুদ্র দ্বিতল গৃহেও সাজ-সরঞ্জাম ও আসবাবপত্রের বাহুল্য ছিল না। ঘরখানায় ছিল একখানা খাট, একখানা চাটাই, একখানা চাদর, খেজুর গাছের বাকলে প্রস্তুত একটি বালিশ, আটা-ময়দা রাখবার জন্য দুইটি মটকা, একটি। কলসী এবং একটি মাত্র পেয়ালা।

আল্লাহর নবী (সাঃ) ও হযরত আয়েশা (রাঃ) যে ঘরে থাকতেন উহা ছিল। নূরে এলাহীতে পরিপূর্ণ। অথচ রাত্রির অন্ধকার দূর করবার জন্য একটি মাটির প্রদীপ জ্বালাবার সামর্থ্যও তাঁদের থাকত না। অন্ধকারেই তারা রাত্রিযাপন। করতেন।
যতদিন নবী করীম (সাঃ)-এর পত্নী হযরত সাওদা ও হযরত আয়েশা এই দুজনই ছিলেন ততদিন রাসূলে করীম (সাঃ) পালাক্রমে তাদের ঘরে রাত্রি যাপন করতেন।

পরবর্তী পর্যায়ে যখন উম্মুল মু'মিনীনদের সংখ্যা বেড়ে গেল তখন হযরত সাওদা আপন বার্ধক্যজনিত কারণে আপন পালা হযরত আয়েশার প্রতি ছেড়ে দিলেন। যার ফলে প্রতি নয় রাত্রির মধ্যে নবী করীম (সাঃ) দুই রাত্রি হযরত আয়েশার গৃহে অবস্থান করতেন। হযরত আয়েশা বেশিরভাগ সময়ই একাকিনী বাস করতেন। কেবলমাত্র অল্প কিছুদিন বারীরাহ নাম্নী একজন দাসী। তাঁর ঘরে বাস করেছিল।

সাংসারিক বিশৃঙ্খলা

কোন শােরগােলের স্থান সেখানে ছিল না। রান্না-বান্না অধিকাংশ সময়ে হত না। হযরত আয়েশা বলেন, একাধারে কয়েক মাস আমাদের চুলায় আগুন জ্বলিত না। একাদিক্রমে তিনদিন নবী করীম (সাঃ) ও তাঁর পরিবার-পরিজন তৃপ্তি সহকারে পানাহার করেননি।

অনেক সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হযরত আয়েশার ঘরে এসে মধুর ভাষায় জিজ্ঞাসা করতেন, আয়েশা! খাবার কোন কিছু আছে কি না? হযরত আয়েশা অতি ধীরকণ্ঠে কলতেন, হুজুর! খাবার যা ছিল তা শেষ হয়ে গিয়েছে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও হযরত আয়েশা অভুক্ত অবস্থায় রাত্রি কাটাতেন।

এমন অভাব-অভিযােগের সময়ও যদি সাহাবীদের বা আত্মীয়-স্বজনের নিকট হতে কোন খাদ্য সামগ্রী পৌছিয়ে যেতে, হযরত আয়েশা অকাতরে তা গরীব-দুঃখীদের বিলিয়ে দিতেন। আর নিজে অনাহারে দিন কাটায়ে দিতে।

হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) এতটুকুও দ্বিধাবােধ করতেন না। হিজরতের পর তাদের এই অবস্থাতেই দিন কাটতে লাগল। এমনকি, সমগ্র আরব দেশ বিজয়ের পরও তাদের আর্থিক। অবস্থার কোনই পরিবর্তন হয় নি।

হযরত আয়েশা আপন হাতেই আটা বা যব পিষিতেন। একটা আটা পিষিতে পিষিতে তিনি তন্দ্রাভিভূত হয়ে পড়েন। এদিকে প্রতিবেশির বকরী ঢুকে সমুদয়। আটা খেয়ে চলে যায়। অপর একদিন তিনি নিজ হাতের রুটি তৈরি করে স্বামীর অপেক্ষা করতেছিলেন। ক্রমে রাত্রি অধিক হয়ে গেল। দ্রিার শীতল পরশ তাকে। অভিভূত করে তুলল। কোন সময় তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন তা টেরও করতে পারলেন না। হুজুর ঘরে আগমন করে নামাযে রত হলো। এই অবস্থায় আজিও।

প্রতিবেশির বকরী এসে সমুদয় রুটি খেয়ে গেল

নবী করীম (সাঃ)-এর শেষ জীবনে সমগ্র ইসলামী রাষ্ট্র হতে তাঁর দরবারে সদাসর্বদা নানা প্রকার খাদ্য সামগ্রী ও মূল্যবান উপঢৌকন তাঁর খেদমতে পেশ। হতে লাগল। নবী করীম (সাঃ) তা আপন প্রয়ােজনে ব্যয় না করে এই সমুদয় উপঢৌকন বাইতুল মালে (রাজ ভাণ্ডার) জমা করে দিতেন।

প্রিয়তম স্বামী ইচ্ছাকৃত অভাব ও ধনের প্রতি অনীহা দেখে হযরত আয়েশা বিন্দুমাত্রও মনােক্ষুণ হতেন না; বরয় হাসিমুখে তা বরণ করে নিতেন। কারণ মানব জাতিকে যিনি উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যাবার ব্রত গ্রহণ করেছেন, যার ধ্যান-ধারণা এই সংকীর্ণ জীবন সীমার মধ্যে আবদ্ধ না হয়ে অনন্ত সুখে আশায় উন্মুখ হয়ে। রয়েছে, তিনি এই সামান্য ধরনের মােহে আকৃষ্ট হবেন কেন? নারী অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিলাসপ্রিয়।

কত সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর দরবারে অনেক বিলাস দ্রব্য বহু রাজা-বাদশাহর নিকট হতে উপঢৌকন হিসেবে আসত, হযরত আয়েশা। ক্ষণিকের তরেও ঐ সকল দ্রব্যের মােহে আকৃষ্ট হন নাই। এমনকি তা ব্যবহার করবার বাসনাও মুহূর্তের জন্য তাঁর চিত্তে দোলা দিতে পারেনি।

একবার রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর বিবিগণ একমত হলেন যে, এইবার তারা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট গৃহসজ্জা, অলঙ্কার, সচ্ছল জীবন ধারণে উপযােগী জিনিসের জন্য প্রার্থনা করবেন। একথা শুনে হযরত আবুবকর ও হযরত ওমর নবীর গৃহে আগমন করলেন। হযরত আবুবকর স্বীয় কন্যা হযরত আয়েশা এবং হযরত ওমর তদীয় কন্যা হযরত হাফসা (রাঃ)-কে ডেকে বললেন, - তােমরা কোন কিছু চেয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বিরক্ত করাে না। তােমাদের কোন কিছুর

৭৫ প্রয়ােজন হলে আমরা তার ব্যবস্থা করে দিব। তারা উভয়েই পিতার উপদেশে যদিও ক্ষান্ত রইলেন, কিন্তু অপর বিবিগণ তাঁদের সংকল্পে অনড় রইলেন। যার। ফলে নবী করীম (সাঃ) খুব মনোেক্ষুন্ন হলেন। | স্বামী সােহাগ নারীর অমূল্য ধন। আর মাতৃস্নেহ নারী চরিত্রের অন্যতম।

বৈশিষ্ট্য। হযরত আয়েশার কোন সন্তান-সন্ততি ছিল না, কাজেই তাঁর নিকট হতে আমরা মাতৃস্নেহ সকল মুসলমানের উপরই সমভাবে বেষ্টিত। হযরত আয়েম বয়সে হযরত ফাতেমা (রাঃ) অপেক্ষা ছােট। কিন্তু এই ছােট বয়সে তিনি। মাতৃস্নেহের যে নজীর স্থাপন করেছেন তার তুলনা অতি বিরল।

মারিয়া কিবতিয়ার গর্ভজাত রাসূলুল্লাহর পুত্র ইব্রাহীমের জন্মের সামন্য কয়দিন পরই তাঁকে তিনি আদর-যত্নে লালন-পালন করতে থাকেন। অকাল মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ইব্রাহীম তাঁর ক্রোড়ে লালিত-পালিত হয়েছিলেন। খােলাফায়ে রাশেদার যুগান্তর আমীর মাবিয়া রাজতন্ত্র কায়েম করেন।

তিনি রাজদণ্ড হাতে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর স্নেহের দুলালী হযরত ফাতেমার নয়নমণি হযরত হাসানের নিকট দূত পাঠালেন এ বলে যে, তাঁকে আমীর মাবিয়ার হাতে বয়াৎ হতে হবে, অন্যথায় কারাবাস অবধারিত। হযরত আয়েশা আমীর মাবিয়ার এই হীনমন্যতার কতা শুনে শাবকহারা সিংহীর ন্যায় গর্জিয়ে উঠলেন। মাতৃস্নেহ তার সকল শিরায় উথলিয়ে উঠল। তিনি আমীর মাবিয়াকে ডেকে এনে হুশিয়ার করে দিলেন-হযরত হাসান আজ মাতা-পিতা ও নানাহারা।

আমি আয়েশা নানী হিসেবে আজও বেঁচে আছি।

হাসানের প্রতি অসৌজন্য ব্যবহার করলে হাড়-মাংস। ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যাবে। হযরত আয়েশার মাতৃসুলভ হুঙ্কার ও সাবধান বাণী শুনে আমীর মাবিয়া স্বীয় সংকল্প পরিত্যাগ করলেন।

কেবল যে তিনি নবী পরিবারের জন্যই এমন প্রতিবাদ করেছিলেন তা নহে, সল নিপীড়িত ও দুঃস্থ মানব সন্তানের জন্যই তাঁর মাতৃ হৃদয় কেঁদে উঠত। । কথিত আছে, ঈদের দিন হযরত নবী করীম (সাঃ) একটি ইয়াহুদী শিশুকে
রাস্তার ধারে ক্রন্দনরত দেখতে পেলেন। দয়ার সাগর হযরত নবী করীম | (সাঃ)-এর অন্তর শিশুর ক্রন্দনে স্থির থাকতে পারল না।

তিনি শিশুটির নিকট

গমন করে তাকে কোলে নিলেন। অতি স্নেহের সাথে তাকে তার কাঁদবার কারণ। জিজ্ঞাসা করলেন। শিশু নবীজির স্নেহের পরশ পেয়ে কান্না বন্ধ করে দিল এবং বলল, খয়বর যুদ্ধে তার পিতা-মাতা নিতহ হয়েছে। দুনিয়ায় আপন বলতে তার।

আর কেহ নাই। বালকটির এই দুঃখপূর্ণ কাহিনী শুনে হুজুর (সাঃ) বালকটিকে। বললেন, তুমি আয়েশার মত মা, ফাতেমা (রাঃ) এর মত বােন এবং আমার মত পিতা পেলে কি তাহাদিগকে পছন্দ করবে? বালকটি কাল বিলম্ব না করে জানিয়ে দিল, আমি খুব খুশি হব। নবী করীম তৎক্ষণাৎ বালকটিকে বাড়ি নিয়ে আসলেন।

এবং হযরত আয়েশাকে ডেকে বললেন, আয়েশা! তােমার জন্য একটি ছেলে।
সন্তান এনেছি, তাকে অতি যত্নের সাথে প্রতিপালন করিও। এই বালকটিকে লালন-পালন করে বড় করবার পর হযরত আয়েশা তাকে বিবাহ-শাদী। করিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ রয়েছে।

নিঃসন্তান উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা নিঃসন্তান হওয়া সত্ত্বেও মাতৃস্নেহের কয়েকটি নমুনা আমরা উল্লেখ করেছি যা কিয়ামত পর্যন্ত ইতিহাসে। লিপিবদ্ধ থাকবে। তিনি আরও কতিপয় বালক-বালিকাকে আপন জননীর ন্যায় লালন-পালন করেছেন।

তাদের কয়েকজনের নাম এখানে বর্ণিত হল। হযরত আয়েশা বিনতে আব্দুর রহমান ইবনে আবুবকর (রাঃ), হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াজীদ, হযরত ওমর বিন আব্দুর রহমান আনসারী, হযরত আরওয়া ইবনে জুবাইর ও হযরত মাসরূক ইবনে আকদা প্রমুখ ।।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর ইন্তেকালের পর হযরত আবুবকরের খেলাফত কালে উম্মুল মু'মিনীনগণের জন্য খয়বর হতে পূর্ব নির্ধারিত খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা হত। হযরত ওমর (রাঃ) খলিফা নিযুক্ত হলে হযরত আয়েশা বার হাজার দেহাম এবং অপর উম্মুল মু'মিনীনগণ দশ হাজার দেরহাম করে বার্ষিক ভাতা পেতেন।

কারও মতে, হযরত ওমর তাঁদিগকে জমিন অথবা শস্য গ্রহণ করবার অধিকার প্রদান করেছিলেন। হযরত আয়েশা জমিন গ্রহণ করেছেন। জমিনে। সমুদয় উৎপাদন তিনি গরীব-দুঃখীদের মধ্যে বিরতণ করে দিতেন। হযরত
ওসমান ও হযরত আলী (রাঃ)-এর খেরাফত কালে এবং আমীর মাবিয়ার।

রাজত্বকালে এই প্রথাই বলবৎ ছিল বলে প্রকাশ

আমীর মাবিয়া একবার হযরত আয়েশার খেদমতে এক লক্ষ দেরহাম নজরানা পাঠিয়েছিলেন। সন্ধ্যার পূর্বেই তিনি এই অর্থ লােকজনকে বাটওয়ারা করে দেন। পরিচারিকা এসে আরজ করল- আম্মা! ইফতারের জন্য কিছু রাখার প্রয়ােজন ছিল। তিনি উত্তর করলেন, একখা তােমার আম্মাকে পূর্বেই বলা উচিত। ছিল।

আমীর মবিয়ার রাজত্বকালে তাঁর বােনের ছেলে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জবাইর হেজাজ প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত হন। তিনি আপন খালা হযরত আয়েশার যাবতীয় ব্যয়ভার নিজ পক্ষ হতে বন করতেন। কিন্তু যেইদিন বাইতুল মাল হতে টাকা-কড়ি আসত সেইদিন তিনি উহা আপন প্রয়ােজনে খরচ না করে গরীব-দুঃখীদের মধ্যে বিতরণ করে দিয়ে নিজে অনাহারে থাকতেন।


আমাদের কিছু কথা

বাংলায় লিখতে গিয়ে যদি কোনো ধরনের ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

এবং যদি আপনাদের কোন ধরনের সাজেশন থাকে তাহলে অবশ্য আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন

আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ

আমাদের এই পোস্টে ভিজিট করার জন্য

এবং যদি ভালো লাগে এই পোস্টটি তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

Post a Comment

0 Comments