হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) জীবনী - অজুর বিকল্প তাইয়াম্মুমের বিধান, Part 16 - Islamic Story Bangla

 হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) জীবনী বই

হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) জীবনী - অজুর বিকল্প তাইয়াম্মুমের বিধান

অজুর বিকল্প তাইয়াম্মুমের বিধান

হযরত নবী করীম (সাঃ) ইফকের ঘটনার মাত্র তিনমা পর জাতুল জায়েশ’-
এর যুদ্ধ হতে বিজয়ীর বেশে ফিরতেছেন। এবারও সাথে রয়েছে হযরত আয়েশা (রাঃ)। নবী করীম (সাঃ)-এর সহগামী হযরত আয়েশা এবারও তার। বােনের সেই হার পরিয়াছিলেন। বিরতি পথে একস্তানে এসে দেখা গেল হযরত আয়েশার গলার হারটি নাই। সাথে সাথেই হারের কথা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর গােচরীভূত করলেন। একথা শুনে তিনি কাফেলাকে যাত্রা ভঙ্গ করে সেখানেই শিবির স্থাপন করতে বললেন। যেইখানে তাবু সংস্থাপিত হল সেখানে পানির কোন ব্যবস্থা নাই।

কিছুক্ষণ পরই ফজরের নামায পড়তে হবে। এই ব্যাপারে সৈন্যদের মধ্যে চঞ্চলতা দেখা দিল। তারা হযরত আবুবকর (রাঃ)-এর নিকট। বললেন, “হযরত আয়েশা সকলকেই বিপদে ফেলিয়াছেন।” আবুবকর (রাঃ) তাঁদের নিকট অভিযােগ শুনামাত্র হযরত আয়েশার তাঁবুতে গেলেন। তিনি দেখলেন, নবী করীম (সাঃ) তপার জানুর উপর পবিত্র মস্তক রেখে ঘুমাচ্ছেন। আর হযরত আয়েশা বসে আছেন।

দোস্ত তিনি আয়েশাকে বললেন, তুমি এসব কি আরম্ভ করলে? যার ফলে প্রতিবারই সকলকে অসুবিধায় পড়তে হয়? বলতে বলতে কন্যার গায়ে কয়েকটা আঘাত করলেন। তাঁর করাঘাতে হযরত আয়েশা (রাঃ) খুব কষ্ট পেলেন। কিন্তু নবী করীম (সাঃ)-এর নিদ্রার ব্যাঘাত হতে পারে এজন্য তিনি নড়াচাড় বা উহঃ আহঃ করলেন না। সুবহে সাদিক হবার পূর্বেই রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিদ্রা ভঙ্গ হল। সাথে সাথেই তিনি সৈন্যদলের অসন্তোষ এবং আবুবকর (রাঃ) কন্যাকে শান্তি দানের কথা শুনতে পেলেন।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-ও ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লেন। কারণ নামাযের আর বেশি বিলম্ব নাই। পানির ব্যবস্থা কি? কিন্তু আল্লাহর মহিমা অসীম। যখনই  কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, তখনই আল্লাহ উহা সমাধানের একটি বেস্থা করে দিয়েছেন। উপরােক্ত ঘটনাটিও তেমনি একটি সমস্যা। আল্লাহ। রাইল (আঃ)-এর মারফত নবী করীম (সাঃ)-এর নিকট ওহী পাঠালেন, “এবং e তােমরা পীড়িত হও কিংবা বিদেশে থাক কিংবা তােমরা কেহ শৌচাগার। ত আস কিংবআ স্ত্রী সঙ্গম ক, তখন পানি পাওয়া না গেলে পবিত্র মাটি দ্বারা।

ইয়াম্মত কর। হাত ও মুখমণ্ডল মাসেহ কর। আল্লাহ মার্জনাকারী।” | যেই সকল মুজাহিদ কিছুক্ষণ পূর্বেও পানির অভাবে ফরজ নামায পড়তে পারবে না বলে হযরত আয়েশাকে দায়ী করে নানাপ্রকার আলােচনা-সমালােচনা করেছিলেন। যদ্দরুন আবুবকর (রাঃ) আয়েশাকে প্রহার করতে দ্বিধাবােধ করেন। নাই, তারা আল্লাহর প্রত্যাদেশ পেয়ে খুশিতে হযরত আয়েশার প্রশংসা করতে লাগলেন।

হযরত আয়েশা (রাঃ)এর উছিলায় আল্লাহ তাদের জন্য সহজ একটা ব্যবস্থা দিয়েছেন বলে সকলেই আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং হযরত আয়েশার দীর্ঘায়ু কামনা করলেন। সাহাবী হযরত ওসাঈদ ইবেন হােযায়ের আশেয়াকে লক্ষ্য করে বলেছেন, হে ছিদ্দীক তনয়া! আপনার জনম সার্থক! ইসলামে আনপর। দান ইহাই প্রথম নহে। আবুবকর (রাঃ) কন্যাকে বললেন, “মা! আমি জানতাম না, তুমি এত পুণ্যবতী। তােমাকে কেন্দ্র করি আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্য কত সহজ ব্যবস্থা করে দিলেন।”

কাফেলা যাত্রার প্রস্তুতি চলল। শায়িত উটগুলােকে উঠান হল। যেই হার অনেক তালাস করেও পাওয়া যায় নাই, তা-ই একটি উটের পেটের নিচে পাওয়া। গেল। আর এই উছিলায় মুসলমানগণ লাক করল তাইমুমের বিধান।

তাহরীম নবী মহিষীগণ দুই দলে বিভক্ত ছিলেন

হযরত আয়েশা, হাফসা, সাওদা ও সুফিয়া ছিলেন একদলে এবং হযরত যয়নব ও অন্যান্য মহিষীগণ অন্যদলে। কোন। ঝগড়া-ফ্যাসাদ বা বিবাদ-বিসম্বাদের জন্য এই দল নয়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর। খেদমতে কেহ একটা উপস্থিত হয়ে কোন কথা বা দাবী-দাওয়া পেশ করতে। "হসা হতেন না। তাই তাদের কোন কথা বা পরামর্শ থাকলে কেহ কেহ হযরত। আয়েশা (রাঃ) এবং কেহ কেহ যরত যয়নব-এর মাধ্যমে তা ব্যক্ত করতেন।

হুযুর (সাঃ)-এর অভ্যাস ছিল, তিনি আছরের বাদে অল্প সময়ের জন্য সকল আহষীর কক্ষে যেয়ে তাদের সাথে কিছু সময় খােশগল্প করতেন। তিনি সকল। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ)-৮

মহিষীগণের সাথেই সমান ব্যবহার করতেন। কিন্তু ইতােমধ্যে হযরত যয়নবের ঘরে একটু বিলম্ব করতেছেন। এদিকে অপর মহিষীগণ তার প্রতীকআষায় উনাখ থাকতেন।
হযরত আয়েশা হযরত যয়নব (রাঃ)-এর ঘরে হুযুর (সাঃ)-এর বিলম্বের কারণ আবিষ্কার করলেন। হযরত জয়নব (রাঃ)-এর কোন আত্মীয় কিছু মধু প্রদান করেছিলেন। আর হুযুর (সাঃ) ছিলেন মধুর প্রতি খুব আসক্ত। তাই তিনি প্রতিদিনই তার ঘ েআসলে তাঁকে মধুর শরবত পান করাতেন। হুযুর মধুর প্রতি আকর্ষণ এবং দ্রতার খাতিরে অপেক্ষা করতেন না।

ফরে সেখানে সামান্য বিলম্ব হত। হযরত আয়েশা, হযরত হাফসা এবং হযরত সাওদা এর প্রতিকারের রাস্তা খুঁজতে লাগলেন। | হুযুর (সাঃ) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুগন্ধি অধক পছন্দ করতেন। পক্ষান্তরে, দুর্গন্ধ ও অপরিষ্কার তিনি সহ্যই করতে পারতেন না। আরব দেশে মাগাফির নামক এক প্রকার মৌসুমী ফুল ফুটত। এর গন্ধ ছিল তাড়ির ন্যায় উৎকট। হুযুর (সাঃ) এই ফলের গন্ধ মােটেই সহ্য করতে পারতেন না।

মৌমাছি যে ফুল হতে মধু সংগহ করে মধুর মধ্যে সে ফুলের গন্ধ অনেকটাই পাওয়া যায়। তাই তাঁরা। কূটবুদ্ধি স্থির করলেন যে, নবী করীম (সাঃ) তাদের নিকট আগমন করলে তাঁকে জিজ্ঞাসা করবেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাঃ)! আপনার মুখ হতে যেন কিসের গন্ধ আসতেছে? উত্তরে যখন তিনি বলবেন-মধুর। তখন তারা বলবেন- মাগাফির। ফুলের মধু!’
তাদের এই পরামর্শের পর হুযুর (সাঃ) পূর্ব অভ্যাস মত আছরের পর বিবিগণের সহিত দেখা-সাক্ষাৎ ও খােশ আলাপে বের হলেন।

আজিও হযরত যয়নব তাকে মধুর শরবত দ্বারা আপ্যায়িত করলেন। সেখান হতে যররত (সাঃ) হাফসার ঘরে আসলেন। তাদের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান চলল। হযরত হাফসা পূর্ব সলানুযী-ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাঃ)! আপনার মুখ হতে যেন কিসের দুর্গন্ধ আসতেছে? হুযুর (সাঃ) বললেন- আমি যয়নবের ঘরে মধুর শরবত ব্যতীত অন্য কিছু পানাহার করি নাই। হযরত হাফসা বলরেন-হয়তাে ঐ মধু মাগাফির ফুলের হতে পারে। তার এই কথা শুনে হুযুর (সাঃ) একটু বিব্রত বােধ করলেন।

আল্লাহর প্রিয় নবী সামান্য একটি বিষয় নিয়ে প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন তা আপাতঃ নজরে খাট করে ভাবলে চলবে না। কারণ নবী না হয়ে অন্য কোন।
ধারণ লােক এইরূপ প্রতিজ্ঞা করলে তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনার কিছু থাকতন না। কিন্ত ইহা মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রতিজ্ঞা । তাই ইহা সংশােধন হওয়া প্রয়ােজন। অতএব, আল্লাহতায়ালা ঘােষণা করলেন- হে নবী!

আল্লাহর যা কিছু আনপর জন্য বৈধ করেছেন পত্নীগণকে খুশী করবার জন্য কেন তা অবৈধ করতেছেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। অবশ্যই আল্লাহ শপথ উন্মােচন। আপনাদের জন্য বিধি সংগত করেছেন। আল্লাহ আপনাদের বন্ধু এবং তিনি জ্ঞান। ও বিজ্ঞ।”
আল্লাহ পাক এই আদেশ বাণী প্রেরণ করবার পর হুযুর (সাঃ) তাঁর প্রতিজ্ঞা। পরিত্যাগ করে পুনঃ মধু পান করতে আরম্ভ করে দিলেন।

নবী মহিষীগণের এই কূট পরামর্শ এবং নবীর সাথে এরূপ আচরণের বিষয়। আলােচনার অবকাশ রাখে। নিরপেক্ষভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, এখানে তাঁদের একটি মাত্রই উদ্দেশ্য ছিল, তা হল হুযুরের প্রতি তাদের অগাধ অনুরাগ, ভালবাসা এবং তাঁকে নিকটে পাবার তীব্র কামনা। বিশেষতঃ ইহা মানব প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য। সপত্নীদের অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না।

ঈলা তাহরীমের অল্পকিছু কাল পরই নবম হিজরীর একটি উল্লেখযােগ্য ঘটনা হল। ঈলা। সমস্ত আরব উপদ্বীপে ইসলাম বিস্তৃত হয়েছে। কোরাইশদের গর্ব চিরতরে। বিলীন হয়েছে। ইয়াহুদীদের শেষ আশ্রয়স্থল খায়বর মুসলমানদের পদানত।। দূর-দূরান্ত হতে হুযুল (সাঃ)-এর দরবারে বিপুল পরিমাণে গনিমত মাল আসতে লাগল। কিন্তু এত ধন-সম্পদ ও প্রাচুর্যের সময়ও হুযুর (সাঃ)-এর পারিবারি ব্যয়।

নবাহ পূর্বের মতই রয়ে গেল

কোন প্রকার খরচের বাড়াবাড়ি সেখানে স্থান পেল না। উম্মুল মু'মিনীনদের জন্য পূর্বে যে গম, খেজুর বরাদ্ধ করা হয়েছেল তা ছিল খয়ােজনের তুলনায় অপ্রতুল। কারণ তাঁদের ঐ বরাদ্ধকৃত পারিবারিক খরচ হতে দান-খয়রাত করে অনেক সময় তাঁদের অনাহারে দিন কাটাতে হত।
তাঁদের অনেকেই ছিলেন ধনবান ও আমীরের কন্যা। তারা পিতৃগৃহে কোন।

ময়ই অভাব-অনটন দেখেন নাই। খায়বর বিজয়ের পর যখন মদীনার সমাজের আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা হল তখন নবী মহিষীগণও প্রযােজনীয় খরচ করবার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করলেন। তারা সকলে হুযুর (সাঃ)-এর খেদমতে। উক্ত আবেদন জানালেন।

নবী করীর (সাঃ)-এর বিশেষ সহচরগণ মর্মাহমত ও চিন্তিত হলেন

আবুবরক ও ওমর (রাঃ) নবীগৃহে আপন কন্যাদের এই মত পরিহার করতে নির্দেশ দিলেন। কেননা রাসূলুল্লাহ ব্যয়ভাবের জন্য বিরক্ত করলে তার পরিনাশ খারাপ হবে। হযরত ওমর স্বীয় কন্যাকে বললেন-“রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কেবল আমার খাতিরেই তােমাকে পত্নীরূপে এখনও রেখেছেন। অন্যথায় অনেক পূর্বেই তােমাকে পরিত্যাগ করতেন। সাবধান! হুযুর (সাঃ)-কে বিরক্ত করলে তার ফল শুভ হবে না’ পরে তিনি প্রত্যেক নবীপত্নীদের নিকট গিয়ে তাদের এ বাসনা। পরিত্যাগ করতে বলেন।

আবুবকর ও ওমর (রাঃ)-এর কথায় হযরত আয়েশা এবং হযরত হাফসা তাদের বাসনা ত্যাগ করলেন। কিন্তু অপরাপর মহিষীগণ সিদ্ধান্তে অটল রইলেন। মহিষীগণ সচ্ছল জীবনের যাবতীয় উপকরণ হুযুর (সাঃ)-এর নিকট হতে আদায় করতে চাপ সৃষ্টি করলেন। ঠিক এই সময়ই একটি গাছের শিকড়ে হোঁচট খেয়ে। নবী করীম (সাঃ) তাঁর পাঁজর দেশে আঘাত পেলেন। তাঁর এই শারীরিক আঘাতেও তারা তাকে বিরক্ত করা হতে নিবৃত্ত হলেন না।

তাঁদের এহেন ব্যবহারে হুযুর (সাঃ) মনঃক্ষুন্ন হলেন। শারীরিক ও মানসিক অশান্তির মধ্যে তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন- একমাস তিনি কোন মহিষীর সাথেই মেলামেশা করবেরন না। আয়েশার ঘরের নিকট ছােট একটি ঘরে তিনি থাকতে লাগলেন।
মুনাফিকদের একটি সযােগ মিলে গেল। তারা প্রচার করল যে, হুযুর (সাঃ) সকল মহিষীকে পরিত্যাগ করেছেন।

এই খবর দ্রুত গতিতে সারা মদীনায় ছড়িয়ে পড়ল। মদীনার ঘরে ঘরে নেমে আসল শােকের ছায়া। সাহাবাগণ | মসজিদে সমবেত হলেন। উম্মুল মু'মিনীনগণের মধ্যে কান্নাকাটির রােল পড়ে। গেল। হুযুর (সাঃ)-এর সম্মুখে উপস্থিত হয়ে এই কথা জিজ্ঞাসা করবার কেহই। সাহস করলেন না।
হযরত ওমর (রাঃ) দেখলেন, সকলেই শশাকে ও বিষন্নতায় বিহ্বল। কি।

করতে হবে তা কেহই স্থির করতে পারতেছেন না। তিনি দুবার দরবারে নববীতে। প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করলেন। কিন্তু ভিতর হতে কোন সাড়াই পেলেন না। তৃতীয়বার অনিমতি প্রার্থন করবার পর অনুমতি মিলল। এবার তিনি ভিতরে
প্রশে করে দেখলেন, ইহ-পরকালের সম্রাট রাহমাতুল্লিল আলামীন একখানা। সাধারণ গড়ির খাটিয়ায় শায়িত। তাঁর শরীর মােবারকে দড়ির দাগ স্পষ্ট হয়ে। আছে।

তাঁর ঘরখানায় কয়েকটি মাটির পাত্র ও খালি মশক এখানে-সেখানে। ছড়িয়ে রয়েছে। হুযুর (সাঃ)-এর এই দীন-হীন অবস্থা দেখে ওমর (রাঃ)-এর। চক্ষু অশ্রুসজল হয়ে উঠল। | তিনি অতি কাতর ও ক্ষীণকণ্ঠে আরজ করলেন-“ইহা রাসূলাল্লাহ (সাঃ)! আপনি কি ‘আযওয়াজে মাতাহহারাত’-কে তালাক দিয়েছেন? উত্তরে নবী করীম। (সাঃ) বললেন- না।

হযরত ওমর পুনরায় বললেন ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাঃ)

আমি কি এই খবর উম্মুল মুমিনীন ও সকল মুসলমানকে জানাতে পারে? হযরত ওমর তাঁর নিকট হতে হাঁ-সূচক জবান পেয়ে নারায়ে তাকবীর বলে বের হয়ে আসলেন।
এদিকে হযরত আয়েশা (রাঃ) কেবল দিন গণনা করতেছিলেন। তিনি এই দীর্ঘ একমাস হুযুর (সাঃ)-এর বিচ্ছেদ ব্যথায় অধীর হয়ে পড়লেন। আহার-ন্দ্রিা ত্যাগ করে তিনি সারাদিন অশ্রুবিসর্জন করে কাটাতেন।

এই মাসটি ছিল ঊনত্রিশ দিনের। উনত্রিশ দিন পরই হুজুর (সাঃ) ঘর হতে বের হয়ে প্রতমে আয়েশার ঘরে আসলেন। তাঁর আগমনে যেখানে হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর খুশি হওয়ার কথা, সেখানে তিনি প্রথমেই হুযুর (সাঃ)-কে। জিজ্ঞাসা করলেন-“ইয়া রাসূলাল্লাহ (সাঃ)! আজ যে মাসের ঊনত্রিশ তােিরখ, আপনি ত এক মাসের প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।” হুযুর (সাঃ) তাঁর এই ব্যবহারে কোন প্রকার বিররিকত ভাব না দেখিয়ে বললেন- “আয়েশা! কোন মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়ে থাকে।”


আমাদের কিছু কথা

বাংলায় লিখতে গিয়ে যদি কোনো ধরনের ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

এবং যদি আপনাদের কোন ধরনের সাজেশন থাকে তাহলে অবশ্য আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন

আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ

আমাদের এই পোস্টে ভিজিট করার জন্য

এবং যদি ভালো লাগে এই পোস্টটি তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

Post a Comment

0 Comments