হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) জীবনী Part 27 - নবুয়ত প্রাপ্তি - Islamic History Bangla

হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) জীবন বই কাহিনী

হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) জীবনী কাহিনী, Islamic story Bangla site

নবুয়ত প্রাপ্তি

নবুয়ত প্রাপ্তির সময় নিকটবর্তী হলে হুযুরে পাক (সাঃ) যেন পূর্বাপেক্ষা আরও বেশী নির্জনতাপ্রিয় হয়ে উঠিলেন। এসময় তাঁর বয়স চল্লিশ বছর পূর্ণ হয়ে উঠেছিল। হুযুরে পাক (সাঃ) এসময়ে হেরা পর্বতের নির্জন গুহায় একাধারে কয়েকদিন নির্জনে বাস করতে লাগলেন। ইতােমধ্যে একদিন হঠাৎ ফেরেশতা জিব্রাঈল এসে হুযুরে পাক (সাঃ)-কে লক্ষ্য করে বললেন, “ইকরা' অর্থাৎ পাঠ করুন।

More Info: বনু নাযীর যুদ্ধ - যুদ্ধের ইতিহাস

এর উত্তরে হুযুর (সাঃ) বললেন, মা আনা বি কারিয়িন’ আমি তাে পড়তে জানি না। তখন জিব্রাঈল হুযুরে পাক (সাঃ)-কে সজোরে আলিঙ্গন করে ছেড়ে দিয়ে বললেন ঃ পড়ুন; কিন্তু হুযুর (সাঃ) ঐ একই জবাব দিলেন। এভাবে। জিব্রাঈল হুযুর (সাঃ)-কে তিনবার পড়তে বললেন এবং তিনবার আলিঙ্গন করলেন।

পবিত্র কোরআন পাঠ করুন

শেষবার জিব্রাঈল তাকে আলিঙ্গন করে ছেড়ে দিয়ে “ইকরা’ হতে পরবর্তী পাঁচটি আয়াত অর্থাৎ ‘মা’লাম ইয়া’লাম’ পর্যন্ত পাঠ করাইলেন। আয়াতগুলাের অর্থ হল এই ঃ (১) হে নবী! আপনি নিজের প্রভুর নাম নিয়ে পবিত্র কোরআন পাঠ করুন, যিনি সৃষ্টি করেছেন। (২) যিনি মানুষকে জমাট রক্ত দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। (৩) আপনি কোরআন পাঠ করুন আর আপনার প্রভু অত্যন্ত দানশীল। (৪) যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন। (৫) মানুষকে ঐ সকল শিক্ষা। দিয়েছেন-যা সে জানিত না।

কাপিতে কাঁপিতে অজ্ঞান

হুযুরে পাক (সাঃ) ভয়ে কাপতে কাপতে ফেরেশতা জিব্রাঈলের সাথে সাথে উক্ত কালামগুলাে পাঠ করলেন। ফেরেশতা জিব্রাঈল তাকে এ শিক্ষা দিয়েই। সেদিনকার মত অদৃশ্য হয়ে গেলেন। হুযুরে পাক (সাঃ) কাপিতে কাঁপিতে অজ্ঞান। হয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন।

এদিকে হযরত খাদীজা (রাঃ) স্বামীর বাড়ীতে ফিরতে দেরি দেখে সংবাদ লওয়ার জন্য দুজন লােককে হেরা পর্বতগুহায় পাঠিয়ে দিলেন। তারা সেখানে পৌছে গুহার কিছু দূরে হুযুরে পাক (সাঃ)-কে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সে অবস্থাই তাঁকে ধরাধরি করে বাড়ীতে নিয়ে গেল এবং তার সেবা-শুশ্রুষা করতে লাগল।

 

কিছুক্ষণ পর তাঁর জ্ঞান একটু ফিরে আসল; কিন্তু তাঁর হৃদয় হতে ভয় তখনও পুরাপুরি দূর হয় নেই। তিনি কম্পিত স্বরে বললেন, খাদীজা! আমার উপরে পানির ছিটা দাও এবং আমার শরীর কম্বল দ্বারা ঢেকেদাও। আমার জীবনের আশংকা হতেছে।

হযরত খাদীজা (রাঃ) তাঁকে সাহস দিয়ে বললেন

আপনি এত ভয়। পাইতেছেন কেন? আপনার ভয় পাবার কোন কারণই নেই। যেহেতু আপনি তাে কখনও কারও অপকার করেননি। আপনি সকলের সাথে ভাল ব্যবহার করেন। দ্বীন-দুঃখীকে সাহায্য করেন। ইয়াতীমদিগকে স্নেহ করেন। তারপরও আপনার প্রতি আল্লাহতায়ালা কেন বিমুখ হবেন? আপনার কি হয়েছে খুলে বলুন, শুনি।

হুযুর (সাঃ) তাঁকে সবকথাই খুলে বললেন। হযরত খাদীজা (রাঃ) বললেন, আপনার ভয়ের কোন কারণ নেই। তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাবে এরূপ অনেক।
 ঘটনার কথা উল্লিখিত আছে। আপনি অনুমতি করলে আমি চাচাতাে ভাই ওয়ারাকা ইবনে নওফেলের কাছে গিয়ে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে আসতে পারি । তিনি তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাবে বিশেষ পারদর্শী। আমার বিশ্বাস যে, এ সম্বন্ধে সবকথা বলতে পারবেন।
 

হুযুরে পাক (সাঃ) সম্মত হলেন

তারপর খাদীজা (রাঃ) স্বামীকে নিয়ে। ওয়ারাকা-ইবনে নওফেলের কাছে গিয়ে সবকথা তাঁর কাছে বললেন।
ওয়ারাকা ইবনে নওফেল বললেন ঃ আপনার কথা শুনে আমার দৃঢ়প্রত্যয়।

জন্মিয়াছে যে, এ আর কিছুই নয়, হযরত মূসা (আঃ), হযরত ঈসা (আঃ) প্রভৃতি নবীদের কাছে আল্লাহর যে দূত আল্লাহর বাণী নিয়ে আগমন করতেন, তিনিই আপনার কাছে এসেছিলেন। তাঁর নাম হযরত জিব্রাইল। কোন নবী ব্যতীত অন্য লােকের কাছে তিনি আগমন করেন না। আপনি নিশ্চয় শেষ নবী।।

তিনি আরও বললেন, আপনার খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা খুব সত্বরই এমন সময় আসবে, যেদিন দেশের লােক আপনার কথা। বিশ্বাস করবে না, এমনকি আপনার আত্মীয়-স্বজন পর্যন্ত আপনার শত্রু হয়ে যাবে। এবং আপনার প্রতি অসহনীয় অত্যাচার করবে। এমন কি আপনাকে দেশ হতে তাড়িয়ে দিবে।


একথা শুনে হুযুরে পাক (সাঃ) অত্যন্ত শংকিত ও দুঃখিত হয়ে বললেন, তবে কি আমার দেশবাসী আমাকে দেশ হতে তাড়িয়ে দিবে।

তিনি বললেন : হাঁ, দুনিয়াতে যত নবী ও রাসূল এসেছিলেন, তাঁদের সকলের প্রতিই নিজের দেশবাসীগণ নির্মম অত্যাচার করেছে। আপনার বেলায়ও এর কোন ব্যতিক্রম হবে না। তবে আল্লাহর কসম! আমি যদি সে সময় পর্যন্ত। জীবিত থাকি, তবে আমি আপনাকে যথাসাধ্য সকল প্রকার সাহায্য করব।


ওয়ারাকা ইবনে নওফেলের কথায় হুযুরে পাক (সাঃ) এবং হযরত খাদীজা। (রাঃ) উভয়েই কিছুটা ভীত ও চিন্তিত হলেন। তা সত্ত্বেও তাঁদের মনে যেন একটা সাফল্যের আনন্দ ফুটে উঠল এবং সে আনন্দ নিয়েই তারা ঘরে ফিরলেন।

একদিন হযরত রাসূলে করীম (সাঃ)

ইতােমধ্যে একদিন হযরত রাসূলে করীম (সাঃ) একটা বিরাট জনহীন। প্রান্তরের উপর দিয়ে একা পথ চলতেছিলেন। এমন সময়ে আকাশের দিক হতে। একটা গম্ভীর শব্দ ভেসে এল ঃ ইয়া মুহাম্মদ ! তিনি উক্ত আহবান বাণী শুনে। উপরের দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলেন-বিরাট একটা সিংহাসন শূন্যের উপর থেকে ভেসে আসতেছে এবং তাতে ফেরেশতা জিব্রাঈল (আঃ) একটা বিরাট আকৃতিতে বসে রয়েছেন।

ইতােপূর্বে তিনি আর কোনদিনই ফেরেশতা জিব্রাঈল এরূপ আকৃতি দেখেন। নেই। সেজন্য তিনি ভয়ে কাপিতে কাঁপিতে বাড়ী এসে হযরত খাদীজা (রাঃ)-কে বললেন, হে খাদীজা ! শীঘ্র আমার শরীর কাপড়ের দ্বারা ঢেকে দাও। | হযরত খাদীজা (রাঃ) তাড়াতাড়ি একখানা চাদর এনে তার শরীর ঢেকে দিলেন। ঠিক সে সময়ে তার উপর অহী অবতীর্ণ হল। তিনি শুনতে পেলেন ঃ

“ইয়া আইয়ুহাল মুদ্দাচ্ছির কুম ফাওয়ানজির ওয়া রাব্বকা ফাকাব্বির ওয়া ছিইয়াবুকা ফাতাহহির অররুজ ফাহজুর।' অর্থাৎ হে চাদরাবৃত ব্যক্তি! উঠ, এবং লােকদিগকে ভয় প্রদর্শন কর এবং তােমার প্রতিপালকের গুণগান এবং তােমার পরিধানের বস্ত্র পবিত্র রাখ এবং শিরক ও কুফরী হতে দূরে থাক ।

 এর পর যথারীতি হুযুরে পাক (সাঃ)-এর উপরে অহী নাযিল হতে লাগল । পবিত্র কোরআনের যে যে আয়াত যখন নাযিল হত, তিনি তখনই তা মুখস্থ করে রাখতেন এবং তা হতে হযরত খাদীজা (রাঃ)-কে পাঠ করে শুনাতেন। হযরত খাদীজা (রাঃ) সাথে সাথে তা মুখস্থ করে ফেলতেন।

হযরত রাসূলে করীম (সাঃ)-এর প্রতি ইসলাম প্রচারের আদেশ ও তার প্রাথমিক নিয়ম নাযিল হওয়ার পর একদিন তিনি হযরত খাদীজা (রাঃ)-কে বললেন, হে খাদীজা! তুমি এখন আমার সম্বন্ধে কি ধারণা পােষণ কর? তিনি বললেন ঃ আমি আপনাকে আল্লাহর নবী বলে বিশ্বাস করতেছি।

এক আল্লাহর উপরে বিশ্বাস স্থাপন কর

রাসূলেপাক (সাঃ) বললেন, তা হলে তুমি এখনই শিরক ও কুফরী হতে। তাওবা করে নিরাকার, সর্বশক্তিমান এক আল্লাহর উপরে বিশ্বাস স্থাপন কর এবং মন দিয়ে তাঁর ইবাদাত-বন্দেগী কর। তুমি পাঠ কর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু। মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।' তখনই হযরত খাদীজা (রাঃ) কালেমা তাইয়্যেব পাঠ করে ইসলাম গ্রহণ করলেন এবং শিরক ও কুফরী হতে তাওবা করলেন।

কোরায়েশদের ব্যাপক অত্যাচার আবু তালিবের আশ্বাসলাভে কোরায়েশগণ মনে করেছিল যে, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এখন হতে তার প্রচারণা বন্ধ করবে এবং তাদের দেব-দেবীদের সম্পর্কে আর কোন কথা বলবে না। কিন্তু দেখা গেল যে, না সেসব কিছুই হল না। তিনি

তার ধর্মের প্রচার কাজ একইভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন এবং দেব-দেবীদের সম্পর্কে। কু-মন্তব্য এখনও করতেছেন। সুতরাং তারা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রতি, আবার ক্ষেপে উঠল। এবার তারা শুধু একা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপরে নয়, তাঁর অনুসারী ও দ্বীন-ইসলাম গ্রহণকারী নও-মুসলিমগণের প্রতিও এবার তারা মারমুখী হয়ে উঠল। এবার তারা যেখানে যাকে সুযােগমত পেত, অকথ্য ও অসহনীয়ভাবে সেখানে তাকে নির্যাতন শুরু করত।

মক্কার সকল কোরায়েশ যেখানে শত্ৰু, একাকী আবু তালিব তাদের বিরুদ্ধে কত আর কি করবেন? হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কোরায়েশদের প্রতিনিধি ওত্বর প্রস্তাবে রাজী হতেন তবে তাে রাজার হালে থাকতে পারতেন। 

কল লােক তার অনুগত ও বাধ্যগত হয়ে থাকিত, তাঁর সুখ ও শান্তির জন্য আর কোন অভাব থাকিত না। কিন্তু তার পক্ষে তা সম্ভব হল না। তিনি গ্রহণ করলেন বিপদসঙ্কুল ও কন্টকাকীর্ণ পথ। তিনি যে। জগতে আগমনই করেছেন এ উদ্দেশ্যে। মানুষকে তার দ্বীনের আলাে দেখতে। হবে। তাতে তার যত বিপদই হউক না কেন?

পক্ষান্তরে, কাফের কোরায়েশগণ হিংস্র পশুর মত তার উপর এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারীদের উপর তাদের নির্যাতনের থাবা ভীষণভাবে বিস্তার করল। হুযুরে পাক (সাঃ)-এর উপরে তারা অত্যাচার করতেই। কোন কোন নতুন মুসলমানকে তারা চাবুকের আঘাতে সর্বশরীর জর্জরিত, ক্ষত-বিক্ষত করতে লাগল। কাকেও। বা দ্বিপ্রহরের প্রচন্ড রৌদ্রতাপে উত্তপ্ত বালুকার উপর চিৎ করে শােয়াইয়া বুকের উপর ভারী পাথর চাপা দিয়ে রাখিতে লাগল।

কারও বা শরীরের চামড়া ধারালাে চাকু দিয়ে চিরে-ফেড়ে তাতে লবণ মাখিয়ে দিত। কাকেও বন্দী করে একাধারে। পাঁচ-সাতদিন পর্যন্ত খােরাক বন্ধ করে তাদেরকে ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ করার জন্য চাপ দিতে লাগল। কিন্তু আল্লাহর কি মহিমা! তাদের মনােবল এবং ঈমান। এমনই সুদৃঢ় ছিল যে, তাদের প্রতি যত অত্যাচারই হউক না কেন, তারা। মৃত্যুবরণে প্রস্তুত হল, তবু প্রাণের ধর্ম ইসলামকে পরিত্যাগ করতে রাজী হল না।।

প্রথম শহীদ। একদিন হুযুরে পাক (সাঃ) কাবাঘরের প্রাঙ্গনে বসে উপদেশদানে লিপ্ত। ছিলেন। তিনি বলতেছিলেনঃ আসমান-যমিন, চন্দ্র-সূর্য, গাছ-পালা, পাহাড়-পর্বত, জ্বিন-ইনসান প্রভৃতি সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহতায়ালা। তিনি নিরাকার, সর্বশক্তিমান ও অদ্বিতীয়। উপাসনার যােগ্য কেবল তিনিই। মূর্তিপূজা। করা একেবারেই অনর্থক। মূর্তি কারও কোন ভাল বা মন্দ করতে পারে না।

ঠিক এ মুহূর্তে একদল কাফের ছুটে এসে হুযুরে পাক (সাঃ)-কে নির্দয়ভাবে প্রহার শুরু করল। এ অবস্থা দেখে হারেস নামের জনৈক মুসলিম দৌড়াইয়া এসে হুযুরে পাক (সাঃ)-কে কাফেরদের হাত হতে রক্ষা করার চেষ্টায় অবতীর্ণ হলেন।

কিন্তু কাফেরগণ সংখ্যায় ছিল অনেক এবং তাঁরা প্রত্যেকেই সশস্ত্র ছিল। তবু আপ্রাণ চেষ্টা করে সাহাবী হারেস (রাঃ) হুযুরে পাক (সাঃ)-কে তাদের হাত হতে কোন রকমে উদ্ধার করলেন। কিন্তু নিজেকে আর কোনভাবে রক্ষা করতে পারলেন না। কাফেরদের হাতে তিনি শহীদ হয়ে গেলেন। এ হারেসই ছিলেন ইসলামের সর্বপ্রথম শহীদ।

হযরত আমীর হামযাহর ইসলাম গ্রহণ

হযরত রাসূলে করীম (সাঃ)-এর অন্যতম চাচা ছিলেন ইসলামের অন্যতম। শ্রেষ্ঠ বীর-বাহাদুর বা ভুবনবিখ্যাত মহাবীর আমীর হামযাহ। তিনি তখনও ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন নেই।

আমীর হামযাহর শিকারের প্রতি অত্যন্ত ঝোঁক ছিল। সারাদিনই তিনি তীর-ধনুক নিয়ে বনে-জঙ্গলে শিকার করে বেড়াইতেন আর সন্ধ্যার সময় প্রত্যাবর্তন করে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে কা'বার প্রাঙ্গনে বসে অনেকরাত পর্যন্ত গল্প-গুজবে কাটিয়ে দিতেন। তিনি ভাতিজা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে খুবই ভালবাসিতেন। এতদিন যদিও তিনি ইসলাম গ্রহণ করেননি, তবু ভাতিজার প্রতি তার আন্তরিক আকর্ষণ ছিল।
                                                
একদিন হুযুরে পাক (সাঃ) কা’বার কাছেই কোন এক জায়গায় উপবিষ্ট ছিলেন। সে সময় কোরায়েশ নেতা আবু জেহেল কতিপয় লােক নিয়ে হুযুরে পাক (সাঃ)-কে অত্যন্ত অপদস্থ করল। সে সময় হামযাহ বাড়ীতে ছিলেন না। তিনি শিকারের খোঁজে গিয়েছিলেন। তিনি সন্ধ্যার পর বাড়ীতে এসে এঘটনা তার দাসীর কাছে শুনতে পেয়ে ক্রোধে জ্বলে উঠলেন ও তীর-ধনুকসহ তখনি কা'বার। প্রাঙ্গনে গিয়ে উপস্থিত হলেন। আবু জেহেল সেখানেই ছিল।

অগ্নিমূর্তি দেখে অত্যন্ত ভীত হয়ে পড়ল

হযরত হামযাহ তার কাছে সরােষে তাকে লক্ষ্য করে বলল, হে আবু জেহেল! তুমি কি জাননা যে, আমিও মুহাম্মদ (সাঃ)-এর ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করেছি। বলে দিলাম, এখন হতে যদি কেউ মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রতি বিন্দুমাত্র অসদাচরণ প্রদর্শন করে, তবে আমি তার গর্দান উড়িয়ে না দিয়ে ছাড়িব না। আবু জেহেল হামযাহর অগ্নিমূর্তি দেখে অত্যন্ত ভীত হয়ে পড়ল এবং তার কথার কোন প্রত্যুত্তর দিতে সাহস না পেয়ে নিশ্ৰুপে তাড়াতাড়ি সেখান হতে সরে পড়ল।

আমীর হামযাহ অবশ্য সেদিনই ইসলাম গ্রহণ করেননি। তবে একথা বলেছিলেন শুধু আবু জেহেলকে ভয় প্রদর্শন করার জন্য। অবশ্য এর মাত্র অল্পদিন পরেই ইসলাম গ্রহণ করলেন। তাঁর ইসলাম গ্রহণ করার ফলে মুসলমানদের মনের সাহস ও শক্তি অনেক গুণে বৃদ্ধি পেল। পক্ষান্তরে, কাফের কোরায়েশগণ। বেশ কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়ল।


আমাদের কিছু কথা

বাংলায় লিখতে গিয়ে যদি কোনো ধরনের ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

এবং যদি আপনাদের কোন ধরনের সাজেশন থাকে তাহলে অবশ্য আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন

আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ

আমাদের এই পোস্টে ভিজিট করার জন্য

এবং যদি ভালো লাগে এই পোস্টটি তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

Post a Comment

0 Comments