রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া - Rojar Niyot And Iftarer Dua - Islamic History Bangla

Islamic History Bangla, রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া

রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া

রোজার নিয়ত আরবি এবং বাংলা অর্থ সহ উচ্চারণ সমূহ
রোজার নিয়ত করা ফরজ, কিন্তু রোজার নিয়ত বা দোয়া আরবিতে অথবা বাংলায় মুখে উচ্চারণ করা জরুরি বা ফরজ নয়। তবে মনে মনে হলেও রোজা রাখার ইচ্ছে বা এরাদা করতে হবে তাহলে রোজার ফরজ নিয়ত করা হয়ে যাবে

বাংলাদেশের সকল জেলার সেহরী ও ইফারের সময়সূচী
 
তবে রোজার নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা সুন্নাত, মনে মনে এরাদা বা ইচ্ছে করার চেয়ে মুখে বলা উত্তম,তাই আমরা রোজা রাখার নিয়ত করবো। ইনশাআল্লাহ

রোজার নিয়ত আরবি:

نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

রোজা রাখার নিয়ত বাংলা উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।

রোজা রাখার নিয়ত বাংলা অর্থ

হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত ) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী। 

More Info: হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) পরিচিতি

ইফতারের দোয়া সহীহ আরবি এবং বাংলা অর্থ সহ উচ্চারণ সমূহ
ইফতারের পূর্বে দোয়া কবুল হয় ,তাই ইফতারের নিয়ত করে ইফতারি সামনে নিয়ে ইফতারের আগ মুহুর্তের বেশি বেশি দোয়া, ইসতেগফার, দুরুদ শরীফ পড়া আল্লাহর কাছে গুনা মাফ চাওয়া এবং ইফতারির সময় হলে ইফতারের দোয়া পরে তারা তারি ইফতার করা

ইফতারের দোয়া সহীহ আরবি

اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ

ইফতারের দোয়া বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আ’লা রিযক্বিকা আফত্বারতু।

ইফতারের দোয়া বাংলা অর্থ

হে আল্লাহ! আমি আপনার উদ্দেশ্যেই রোজা পালন করেছি এবং আপনারই দেওয়া রিজিক দ্বারাই ইফতার করছি

রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি

রোজার ফরজ ২টি

নিয়ত করা,
সুবহে সাদিকের পর হইতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার এবং স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকা ।


রোজার নিয়ত ফরজ কিন্তু রোজার আরবি বা বাংলা দোয়া মুখে উচ্চারণ করা জরুরি না,যদি আপনি মনে মনে ইচ্ছা করেছেন বা নিয়ত করেছেন,যে আগামী কাল আমি রোজা রাখবো ,

শুধু মনে মনে ইচ্ছে করছেন কিন্তু মুখে দোয়া উচ্চারণ করেন নি তাহলেও ১০০% নিশ্চিত থাকেন যে আপনার নিয়ত হয়ে গেছে,নিয়ত নিয়ে কোনো সমস্যা হবেনা, তবে রোজার নিয়ত মুখে বলা উত্তম তাই আমরা রোজার দোয়া মুখে উচ্চারণ করবো ইনশাল্লাহ ।

আবার কারো কারো মতে রোজার ফরজ ৩টি

নিয়ত করা
সকল প্রকার পানাহার এবং স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকা সময়

রোজা ভঙ্গ হলে করনীয় সমূহ কী কী

বিনা কারণে রোজা ভঙ্গ করলে তাকে অবশ্যই কাজা-কাফফারা উভয়ই আদায় করা ওয়াজিব । যতটি রোজা ভঙ্গ হবে, ততটি রোজা আদায় করতে হবে । কাজা রোজা একটির পরিবর্তে....

রোযা বা রোজা (ফার্সি روزہ রুজ়ে), সাউম বা সাওম (আরবি صوم স্বাউম্, অর্থঃ সংযম), বা সিয়াম ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল ভিত্তির তৃতীয় । সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পাপাচার, কামাচার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোযা ।

ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য রমযান মাসের প্রতি দিন রোজা রাখা ফরজ, (فرض ফ়ার্দ্ব্) যার অর্থ অবশ্য পালনীয় ।

উপকারিতা

রমজানের একটি বিশেষ ফজিলত বা মাহাত্ম হচ্ছে, এই পবিত্র রমজান মাসে আল কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে । রমজান মাসের রোজা মানুষকে পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্তি দেয়, মানুষের কুপ্রবৃত্তি ধুয়ে মুছে দেয় এবং আত্মাকে দহন করে ঈমানের শাখা প্রশাখা সঞ্জিবীত করে ।

সর্বোপরি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভ করা যায় । এই মর্মে মহানবী ইরশাদ করেছেন,

"রোজাদারের জন্য দুটি খুশি । একটি হলো তার ইফতারের সময়, আর অপরটি হলো আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ।"
( বুখারী ও মুসলিম) 

More Info: ইলমে দ্বীন শেখানাের ফজীলত সম্পর্কে সাহাবায়ে

রোজা ভঙ্গ হলে করনীয়

বিনা কারণে রোজা ভঙ্গ করলে তাকে অবশ্যই কাজা-কাফফারা উভয়ই আদায় করা ওয়াজিব । যতটি রোজা ভঙ্গ হবে, ততটি রোজা আদায় করতে হবে । কাজা রোজা একটির পরিবর্তে একটি অর্থাৎ রোজার কাজা হিসেবে শুধু একটি রোজাই যথেষ্ট । কাফফারা আদায় করার তিনটি বিধান রয়েছে ।

একটি রোজা ভঙ্গের জন্য একাধারে ৬০টি রোজা রাখতে হবে । কাফফারা ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজার মাঝে কোনো একটি ভঙ্গ হলে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে ।

যদি কারও জন্য ৬০টি রোজা পালন সম্ভব না হয় তবে ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা খাওয়াতে হবে । কেউ অসুস্থতাজনিত কারণে রোজা রাখার ক্ষমতা না থাকলে ৬০ জন ফকির, মিসকিন, গরিব বা অসহায়কে প্রতিদিন দুই বেলা করে পেটভরে খাওয়াতে হবে ।

গোলাম বা দাসী আজাদ করে দিতে হবে ।

যেসব কারণে রমজান মাসে রোজা ভঙ্গ করা যাবে কিন্তু পরে কাজা করতে হয় তা হচ্ছে মুসাফির অবস্থায়
রোগ-ব্যাধি বৃদ্ধির বেশি আশঙ্কা থাকলে মাতৃগর্ভে সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে এমন ক্ষুধা বা তৃষ্ণা হয়, যাতে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকতে পারে শক্তিহীন বৃদ্ধ হলে
কোনো রোজাদারকে সাপে দংশন করলে ।

মহিলাদের মাসিক হায়েজ-নেফাসকালীন রোজা ভঙ্গ করা যায় যেসব কারণে শুধু কাজা আদায় করতে হয় স্ত্রীকে চুম্বন বা স্পর্শ করার কারণে যদি বীর্যপাত হয় ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে পাথরের কণা, লোহার টুকরা, ফলের বিচি গিলে ফেললে ডুশ গ্রহণ করলে ।

বিন্দু পরিমান কোন খাবার খেলে তবে অনিচ্ছাকৃত ভাবে বা মনের ভুলে খেলেও রোজা ভাংবে না তবে মনে আসা মাত্রই খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে নাকে বা কানে ওষুধ দিলে (যদি তা পেটে পেঁৗছে) মাথার ক্ষতস্থানে ওষুধ দেওয়ার পর তা যদি মস্তিষ্কে বা পেটে পেঁৗছে যোনিপথ ব্যতীত অন্য কোনোভাবে সহবাস করার ফলে বীর্য নির্গত হলে স্ত্রী লোকের যোনিপথে ওষুধ দিলে ।

রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া সমূহ

সম্পর্কে আপনাকে জানাতে পেরে সত্যি আমরা আনন্দিত,আমরা উপরে যে বিষয় গুলি নিয়ে আলোচনা করলাম আল্লাহ তায়ালা তার উপর আমল করার তাওফিক দান করুন আমিন, ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে অন্য ভাইকে দেখার সুযোগ করে দিন,অবশ্যই আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিধান দিবেন , আসসালামু আলাইকুম


আমাদের কিছু কথা

বাংলায় লিখতে গিয়ে যদি কোনো ধরনের ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন এবং ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

এবং যদি আপনাদের কোন ধরনের সাজেশন থাকে তাহলে অবশ্য আমাদেরকে ইমেইল করে জানিয়ে দিবেন

আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ

আমাদের এই পোস্টে ভিজিট করার জন্য

এবং যদি ভালো লাগে এই পোস্টটি তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।

Post a Comment

0 Comments